নেই কোনো মানুষ, নেই কোনো শব্দ। বাইরে তালা, ভেতরে নিরবতা। এমন একটির বাড়ির সন্ধান মিলেছে রাজধানীর উত্তরা এলাকায়। বাড়িটি দীর্ঘ দিন থেকে তালাবদ্ধ থাকায় আশপাশের লোকজনের মধ্যে সৃস্টি হয়েছে নানা কৌতুহল ও সন্দেহ। কেউ কেউ এই বাড়ির নাম দিয়েছে ভূতের বাড়ি।
এই বাড়ি নিয়ে স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নানা রকম আলোচনা করেছেন। কেউ এই বাড়ি নিয়ে লিখছেন ভূতের বাড়ি, কেউ লিখছেন এক রহস্য বাড়ি ইত্যাদি।
বাড়িটির অবস্থান উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৩ নম্বর রোডে।
সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, ছয় তালা বিশিষ্ট একটি বিশাল বাসা মানুষশূণ্য অবস্থায় পড়ে আছে। বাসাটির মূল ফটকে ঝুলানো আছে একটি তালা। বাসায় কোনো কেয়ারটেকার বা পাহারাদারও নেই। এমনটি বাসাটির কোনো নম্বর প্লেটও নেই। তবে আশপাশের বাসাগুলোতে লোকজন বসবাস করতে দেখা গেছে। এছাড়াও ওই বাসার পশ্চিম পাশে আরো একটি নতুন বাসার নির্মাণ কাজ করতেও দেখা গেছে। এমন কি বাসা থেকে ৫০ গজ দূরে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছেন। সেখানে সব সময় লোকজনের আনাগুনা লেগেই থাকে।
তবে আশপাশের লোকজনের সাঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আট থেকে দশ বছর আগে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। নির্মাণের পর থেকেই বাড়িটি এভাবে পড়ে আছে। বাড়িটি নির্মাণের পর থেকে আজ পর্যন্ত বাড়িতে কেউ বসবাস করেননি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১৩ নম্বর রোডের ৪০ নম্বর বাসার এক কেয়ারটেকার বাংলাদেশ টাইমসকে জানান, তিনি দীর্ঘ দিন থেকে ওই এলাকায় বসবাস করছেন। তবে বাড়িটি নির্মাণের পর থেকে এখান পর্যন্ত তিনি কাউকে এই বাড়িতে আসতে বা যেতে দেখেননি।
তবে বাসাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুতের বাড়ি হিসিবে বলা হচ্ছে এমনটা জানতে চাইলে ৬০ উর্ধ্ব ওই কেয়ারটেকার বলেন, এখন পর্যন্ত ভূতের কোনো আভাস এই বাড়িতে আমি দেখি নাই। বাড়িতে যদি ভূত বসবাস করতো তা হলে আশপাশের লোকজন তা বুঝতে পারত।
স্থানীয় ব্যবসায়ী শেখ জামাল উদ্দিন জানান, তিনি দীর্ঘ ১৯ বছর থেকে উত্তরা এলাকায় বসবাস করছেন। প্রায় দুই বছর আগে মানুষশূণ্য বাসাটির পাশে একটি মুদির দোকান দিয়েছেন তিনি। কিন্তু এখন পর্যন্ত ওই বাসায় ভূতের কোনো আলামত দেখা যায়নি। তবে এলাকার লোকজন এটাকে ভূতের বাড়ি হিসেবে ডাকে বলে জানান ওই ব্যবসায়ী।
জমির উদ্দিন নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, শুনেছি এই বাড়ি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। তাই আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই বাড়িতে কেউ থাকে না। এই বাড়িতে ভূত বলে কোন কিছুই নেই। সব গুজব।
টাইমস/ কেআরএস/টিএইচ