ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক শেখ ফজলুল করীম মারুফ বলেছেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের সকল মানুষের মতের প্রতিফলন নিশ্চিত করতে হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নাই। জুলাই অভ্যুত্থানের প্রতিজ্ঞা বাস্তবায়নে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে করার দাবি করছি। কিন্তু আজকে এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ যে ভাষায় পিআর দাবিকে সামনে নিয়ে আসা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছেন তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।’
শনিবার (৫ জুলাই) এক বিবৃতিতে বলেন, পিআর দাবি নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ মতামত থাকাই রাজনৈতিক সৌন্দর্য। আলোচনা, তর্ক ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে দেশের স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে একটা সিদ্ধান্তে আসতে হবে। এটাই নতুন বাংলাদেশের প্রত্যাশা। কিন্তু আজকে এক সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ যে ভাষায় পিআর দাবিকে সামনে নিয়ে আসা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বিরোধিতা করেছেন তা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত।
ইসলামী আন্দোলনের প্রচার সম্পাদক বলেন, ‘তিনি (সালাউদ্দিন) যে যুক্তিতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সমালোচনা করেছেন তা স্ববিরোধী। বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে বিএনপিও ২০২১ এর আগের সকল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে তারা গাজীপুর, চট্রগ্রাম, কুমিল্লা ইত্যাদি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ীও হয়েছে। ২০১৯ সালেও তারা স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। চট্রগ্রামে শাহাদাত হোসেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলের নির্বাচনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ইশরাক আওয়ামী আমলের নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন এবং তারই ভিত্তিতে মেয়রের পদ দাবি করে আন্দোলন করেছেন। সালাহউদ্দিন আহমেদের মতো একজন সিনিয়র নেতা এমন স্ববিরোধী বক্তব্য দিয়ে রাজনৈতিক অভব্যতা করবেন বলে জাতী আশা করে না।
ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক বলেন, ইলিয়াস আলীর মতো বিএনপি নেতারা গুম হয়ে শাহাদাৎ বরণ করলেও সালাহউদ্দিন আহমেদ 'গুম' হয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে ভারতে আরাম-আয়েশ অবস্থান করার কারণে অনেক কিছুই হয়তো তিনি জানেন না বা জানলেই অন্যকারো উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মিথ্যা ও স্ববিরোধতার আশ্রয় নিচ্ছেন। বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বলবো, সালাহউদ্দিন আহমেদ ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন না। ফলে তার ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখুন। ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতে কেউ যেনো তাকে ব্যবহার করতে না পারে।
শেখ ফজলুল মারুফ বিবৃতিতে আরও বলেন, সালাহউদ্দিন আহমেদ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাতেও একই রকম বক্তব্য রাখলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমানের প্রতিবাদের মুখে তার বক্তব্য ইউথ ড্র করেছিলেন এবং সরি বলেছিলেন। তারপরেও একই ধরনের বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি সন্দেহজনক। তিনি কি নতুন বাংলাদেশের সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে কারো স্বার্থে বিনষ্ট করতে চাইছেন?
তিনি আরো বলেন, সালাহউদ্দিন আহমেদকে তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক সংস্কৃতি নোংরা করার দায় তাকে ও বিএনপি বহন করতে হবে।
ইউটি/টিকে