ভারতীয় সিনেমায় যখনই কোনো বড় ক্যানভাস, ঐতিহ্য ও আধুনিকতার মিশেল নিয়ে নির্মাণের কথা ওঠে, তখন নাম উঠে আসে পরিচালক ত্রিবিক্রম শ্রীনিবাসের। ‘উইজার্ড অফ ওয়ার্ডস’ খ্যাত এই নির্মাতা এবার হাত দিচ্ছেন এক মিথোলজিকাল মাস্টারপিসে-যেখানে কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে শক্তির দেবতা কার্তিকেয়র আধ্যাত্মিক যুদ্ধ। শোনা যাচ্ছে, এই ছবিতে মুখোমুখি হবেন দুই প্যান-ইন্ডিয়া পাওয়ারহাউস-জুনিয়র এনটিআর ও রানা ডাগ্গুবতি।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এনটিআর-কে দেখা গেছে ‘মুরুগা: দ্য লর্ড অফ ওয়ার, দ্য গড অফ উইজডম’ বই হাতে-যা থেকেই জল্পনা ছড়িয়েছে, তিনিই হবেন যুদ্ধ ও জ্ঞানের দেবতা কার্তিকেয়। যদি এই গুঞ্জন সত্যি হয়, তবে এটি হবে এনটিআর-এর কেরিয়ারের সবচেয়ে নতুন ও পরীক্ষামূলক চরিত্র। তিনি দেবতার ভূমিকায়, অস্ত্রহাতে, আধ্যাত্মিক শক্তির রূপে রুপালি পর্দায় দেখা দিলে, তা ভক্তদের জন্য এক বিরল অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।
অন্যদিকে, ‘বল্লালদেব’ খ্যাত রানা ডাগ্গুবতিকে ত্রিবিক্রম অফার করেছেন এক মিস্টিক্যাল স্বামিজির চরিত্র-যার মধ্যে রয়েছে প্রবল শক্তি ও গভীর অন্ধকার। এমন চরিত্রে রানা যদি অভিনয় করেন, তাহলে তিনি আবারও প্রমাণ করতে পারবেন তাঁর স্ক্রিনে গভীরতা ও তীব্রতার ক্ষমতা।
এই ছবির সবচেয়ে বড় আকর্ষণ, মিথোলজি ও আধুনিক সিনেমাটিক অ্যাপিলের যুগলবন্দি। ত্রিবিক্রম এর আগে ভাষা ও ভাবনার জাদুতে বহুবার দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন। এবার যদি এনটিআর ও রানা একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে আসেন, তবে সেটি হবে এক আধ্যাত্মিক সংঘর্ষের সিনেম্যাটিক ব্যাখ্যা-যেখানে ঈশ্বরের শক্তির মুখোমুখি হবে মানবীয় অন্ধকার।
এই খবরেই ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তুঙ্গে দর্শকদের মধ্যে। বিশেষ করে দক্ষিণের সিনেমা জগতে এখন এই প্রজেক্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে বিশাল হাইপ। এনটিআর ও রানা-দুজনেই বর্তমানে ভারতের দুই জনপ্রিয় মুখ, যাঁদের এক ফ্রেমে দেখা যাবে বলেই চূড়ান্ত কৌতূহল তৈরি হয়েছে।
এই কাস্টিং চূড়ান্ত হলে এবং নির্মাণ শুরু হলে, এটি হতে চলেছে ভারতের অন্যতম বৃহৎ মিথোলজিকাল সিনেমা—যার প্রভাব ছড়াবে দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও।
টিকে/