ইউক্রেনজুড়ে আবারও ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। শনিবার (৫ জুলাই) রাতভর ৩শ’র বেশি ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। যদিও বেশিরভাগই প্রতিহত করার দাবি করেছে কিয়েভ।
পাল্টপাল্টি ড্রোন হামলায় উত্তপ্ত রাশিয়া-ইউক্রেনের আকাশপথ। পুতিন বাহিনীর আক্রমনের জবাবে শনিবার রাশিয়ার ভোরোনেজ অঞ্চলের বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায় ইউক্রেনীয় বাহিনী। দেশটির প্রতিরক্ষা বিভাগের দাবি, হামলায় ধ্বংস হয়েছে কয়েকটি রুশ প্রশিক্ষণ বিমান ও গ্লাইড বোমা। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কয়েকটি শহরের বিমানবন্দরে সাময়িকভাবে বিমান চলাচল বন্ধ রাখে রাশিয়া।
ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু না জানিয়ে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রায় অর্ধশত ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে তারা।
পাল্টা জবাব হিসেবে শনিবার রাতভর ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে ৩শ’র বেশি ড্রোন হামলা চালায় দেশটি। ইউক্রেনীয় সেনাদের দাবি, দেড় শতাধিক ড্রোন ভূপাতিত করেছে তারা। তবে অভিযান চালিয়ে দোনেৎস্ক সীমান্তবর্তী আরও দুটি গ্রাম দখলে নেয়ার দাবি করেছে রুশ বাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের শীর্ষ সেনাপ্রধান সতর্ক করে বলেছেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়া নতুন আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইউক্রেনে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে গত তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় হামলা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান তার।
রাশিয়া হামলা জোরদার করলেও ইউক্রেনের অস্ত্র সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে মস্কো-ওয়াশিংটনের মধ্যে। দরকষাকষির এমন পর্যায়ে আবারও ধাক্কা খেলেন জেলেনস্কি।
ব্লুমবার্গ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইউক্রেন পুনর্গঠন তহবিলের জন্য অর্থ সংগ্রহ স্থগিত করেছে মার্কিন বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ব্ল্যাকরক। যদিও ফ্রান্স নিজ উদ্যোগে বিকল্প তহবিল গঠন করবে বলে জানা গেছে।
পিএ/ এসএন