লোকেশ কানাগরাজের পরবর্তী সিনেমা 'কুলি' নিয়ে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে উত্তেজনা। একদিকে রজনীকান্ত, নাগার্জুনা, উপেন্দ্র—অন্যদিকে আচমকাই হাজির হচ্ছেন আমির খান! শুধু হাজির বললে কম বলা হয়—ক্লাইম্যাক্সে মাত্র ৮–১০ মিনিটের উপস্থিতিতেই বাজিমাত করতে আসছেন তিনি।
ইন্ডাস্ট্রিতে কানাঘুষো চলছিল, আমির খান 'কুলি'-তে রয়েছেন বিশেষ একটি চরিত্রে। এবার সেই গুঞ্জন বাস্তবে রূপ নিল, আমিরের প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গেলো অনুরাগীদের মধ্যে। সেনা পোশাকের মতো একটি লুকে রক্তাক্ত মুখ, পাথরকঠিন চাহনি—এ যেন আমিরের এক নতুন রূপ!
সিনেমার কাহিনি এগিয়ে যাবে রজনীকান্ত, উপেন্দ্র আর নাগার্জুনার নানা ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে। কিন্তু ঠিক যখন গল্প মোড় নেবে নতুন দিকে, তখনই আবির্ভাব ঘটবে আমির খানের। এই এন্ট্রি হবে একেবারে ক্লাইম্যাক্সের ঠিক আগে। বলা হচ্ছে, আমিরের সংক্ষিপ্ত উপস্থিতিই সিনেমার সবচেয়ে আবেগঘন মুহূর্ত হয়ে উঠবে।
লোকেশের এই পরিকল্পনা মনে করিয়ে দেয় সূরিয়ার ‘রোলেক্স’ ক্যামিওর কথা। তবে এবারে নির্মাতা যেন নিজেই চমক ফাঁস করে দিলেন, তবুও তাতে উত্তেজনার ভাটা পড়েনি।
এদিকে 'কুলি' নিয়ে তারকাদের ভারসাম্য রক্ষা করাটাই নির্মাতার অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। এত তারকার উপস্থিতি, প্রত্যেকের স্ক্রিন টাইম, চরিত্রের গুরুত্ব—সবকিছু মিলিয়ে এটা যেন এক হাই-স্টেক সিনেমাটিক দাবার খেলা। তবে ট্রেড অ্যানালিস্টদের মতে, ঠিক মতো হিসাব মেলাতে পারলে এই দাবা খেলায় বিজয়ী হবেন লোকেশই।
এই ছবিকে ঘিরে বাণিজ্যিক সম্ভাবনাও চোখ ধাঁধানো। শুধু তেলুগু রাজ্যেই থিয়েটার রাইটস বিক্রি হয়েছে ৫০ কোটির বেশি দামে। একই সময়ে 'ওয়ার টু' মুক্তি পেলেও, বিশেষজ্ঞরা 'কুলি'র আয় ১০০ কোটি ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিচ্ছেন।
প্রচারণা শুরু হচ্ছে জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে। হায়দরাবাদে হবে প্রি-রিলিজ ইভেন্ট আর চেন্নাইয়ের নেহরু স্টেডিয়ামে হবে বিশাল অডিও লঞ্চ। মুক্তির দিন ধার্য ১৪ আগস্ট ২০২৫—স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে।
কুলি নিয়ে এখন শুধু অপেক্ষা—শেষ পর্যন্ত লোকেশের এই সিনেমা কেমনভাবে মিলিয়ে দেয় তারকাদের ভারসাম্য, আবেগ, অ্যাকশন আর চমক।
এসএন