২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ওয়েক আপ সিড’ শুধু একটি সিনেমা নয়, এক প্রজন্মের আবেগ। রণবীর কাপুরের সিড আর কঙ্কনা সেন শর্মার আইশা—এই দু’জন চরিত্র যেন আজও দর্শকের মনে ঘোরাফেরা করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ছবিটি হয়ে উঠেছে এক নস্টালজিক অনুভব। বহু বছর ধরে ভক্তরা অপেক্ষায় ছিলেন, হয়তো কোনো একদিন আবার দেখা যাবে সেই সিড-আইশাকে। তবে সেই স্বপ্নে এবার ছেদ পড়ল।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্কনা জানালেন, ‘ওয়েক আপ সিড’-এর সিক্যুয়েল নিয়ে যতই ভালোবাসা থাকুক, বাস্তবতা ভিন্ন। তাঁর মতে, কিছু কিছু ছবির জাদু একবারই হয়। আবার বানাতে গেলে সেটা কৃত্রিম হয়ে ওঠে। দর্শকদের ভালোবাসার ছবিকে অপ্রয়োজনীয় সিক্যুয়েলের মাধ্যমে কলঙ্কিত করতে চান না তিনি।
কঙ্কনা বলেন, “অনেকেই বলেন, ওয়েক আপ সিড-এর দ্বিতীয় পর্ব চাই। কিন্তু আসল ছবিটি যেভাবে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে, তার সমতুল্য কিছু বানানো খুব কঠিন। অনেক সময় সিক্যুয়েল আসল ছবির জাদু হারিয়ে ফেলে, যা আমি চাই না।”
২০০৯ সালে আয়ান মুখার্জির পরিচালনায় ‘ওয়েক আপ সিড’ এক নিঃশব্দ বিপ্লব ঘটিয়েছিল। একদিকে একজন অনিয়মিত, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে উদাসীন তরুণ, আর অন্যদিকে এক সৃজনশীল, দায়িত্ববান যুবতী—তাদের সম্পর্কের জটিল আবহে ফুটে উঠেছিল আত্ম-অন্বেষণ, বন্ধুত্ব, ভালোবাসা আর বড় হয়ে ওঠার গল্প।
তবে শুধু ‘ওয়েক আপ সিড’ নয়, কঙ্কনার আসন্ন ছবি ‘মেট্রো... ইন দিনো’ নিয়েও আছে ভ্রান্ত ধারণা। অনেকে ভাবছেন এটি হয়তো ২০০৭ সালের ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’-এর সিক্যুয়েল। সেই সন্দেহও দূর করে দিয়েছেন কঙ্কনা নিজেই। জানিয়েছেন, এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন গল্প। চারটি আলাদা কাহিনি একত্র হয়েছে একটি ব্যান্ডের মাধ্যমে।
তিনি স্পষ্ট করেছেন—নতুন এই ছবি পুরনো গল্পের কোনো ধারাবাহিকতা নয়, বরং নতুন ভাবনার এক স্বাধীন নির্মাণ।
শেষমেশ, কঙ্কনার কথায় এক সুস্পষ্ট বার্তা—সব গল্পকে আবার বলা যায় না, আর সব অনুভূতিও দ্বিতীয়বার জাগে না। কিছু জাদু শুধু একবারের জন্যই হয়, যেমনটা হয়েছিল ‘ওয়েক আপ সিড’-এর ক্ষেত্রে।
এসএন