ইন্দোনেশিয়ার ফ্লোরেস দ্বীপে অবস্থিত মাউন্ট লেওয়োটোবি লাকি-লাকি আগ্নেয়গিরি থেকে সোমবার (৭ জুলাই) সকালে অগ্ন্যুৎপাতের ফলে বালিতে বিমান পরিষেবা ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।
আগ্নেয়গিরিটি বেলা ১১টার দিকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার উঁচু একটি ছাইয়ের স্তম্ভ উদ্গীরণ করে, যার প্রভাবে বালি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ২৪টি ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। এর ফলে বালিতে আসা ও যাওয়া উভয় ফ্লাইটেই প্রভাব পড়েছে।
বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার আহমদ শৌগি শাহাব জানিয়েছেন, লাবুয়ান বাজো (ফ্লোরেসে), অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর এবং দক্ষিণ কোরিয়াগামী বেশ কয়েকটি এয়ারলাইনস, যার মধ্যে ভার্জিন অস্ট্রেলিয়া, জেটস্টার এয়ারওয়েজ এবং এয়ারএশিয়া ইন্দোনেশিয়া রয়েছে, তাদের ফ্লাইট বাতিল অথবা বিলম্বিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরিবিদ্যা সংস্থা জানায়, আগ্নেয়গিরিটি এতটা ভয়াবহ ছিল যে বিস্ফোরণ এবং অবিরাম কম্পন লক্ষ্য করা গেছে। সংস্থাটি ভারী বৃষ্টির ক্ষেত্রে বিপজ্জনক লাহার বন্যার (আগ্নেয়গিরির কাদা বা ধ্বংসাবশেষ প্রবাহ) আশঙ্কার বিষয়ে সতর্ক করেছে, বিশেষ করে নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দাদের জন্য।
এখন পর্যন্ত কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভূতত্ত্ব সংস্থার প্রধান মুহাম্মদ ওয়াফিদ বাসিন্দাদের আগ্নেয়গিরি থেকে কমপক্ষে ৬ কিলোমিটার দূরে থাকতে এবং ছাই থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মাস্ক পরার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত মাসেও এই একই আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের কারণে বালি থেকে বহু ফ্লাইট বাতিল হয়েছিল। ওই সময়ে আগ্নেয়গিরির আশপাশে কয়েকটি গ্রামে ছাই বৃষ্টি হয়েছিল এবং অন্তত একটি গ্রাম থেকে মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়েছিল।
উল্লেখ্য, মাউন্ট লেওয়োটোবি লাকি-লাকি গত নভেম্বরেও একাধিকবার অগ্ন্যুৎপাত ঘটিয়েছিল, যার ফলে নয়জনের মৃত্যু হয় এবং হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে হয়।
আরআর/এসএন