২০২৫ সালের প্রথমার্ধে ভারতীয় সিনেমা বক্স অফিসে নতুন রেকর্ড গড়েছে। জানুয়ারি থেকে জুন—এই ছয় মাসে দেশজুড়ে মুক্তি পেয়েছে ৮৫৬টি সিনেমা। এর মধ্যে বৈচিত্র্য যেমন আছে, তেমনি আছে আয়ের দিক থেকেও নতুন উচ্চতা। এই সময়ে সব মিলিয়ে বক্স অফিস সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে প্রায় ₹৫৩৬০ কোটি, যা গত বছরের একই সময়ের ₹৫২৬০ কোটি আয়ের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।
সবচেয়ে বড় সাফল্য এনে দিয়েছে ‘ছাভা’। ঐতিহাসিক অ্যাকশন ঘরানার এই ছবিতে ভিকি কৌশলের বলিষ্ঠ উপস্থিতি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। এখন পর্যন্ত আয়ের অঙ্ক ছাড়িয়েছে ₹৮০০ কোটি। বছরের প্রথমার্ধের সর্বোচ্চ আয়কারী সিনেমা হিসেবে এটি ভারতীয় চলচ্চিত্র ইতিহাসে নিজের জায়গা পাকা করেছে।
দক্ষিণের সিনেমার দাপটও স্পষ্ট। মালায়ালম সুপারস্টার মোহনলাল ও পরিচালক-অভিনেতা পৃথ্বীরাজের ‘এমপুরান’ আয় করেছে ₹৩০০ কোটি ছাড়িয়ে। কেবল কেরালায় নয়, সারা দেশে আলোড়ন তুলেছে এই ছবি। একইভাবে, তেলুগু সিনেমা ‘সংক্রান্তিকি বস্তুন্নাম’ও ₹৩০০ কোটি আয় করে প্রমাণ দিয়েছে যে আঞ্চলিক কনটেন্টই এখন ভারতের আসল শক্তি।
তবে শুধু এই কয়েকটি ছবি নয়, ‘হাউসফুল ৫’, ‘থুদারুম’, ‘রেইড ২’, ‘সিতারে জমিন পার’, ‘গুড ব্যাড আগলি’—বিভিন্ন ঘরানার ছবিও বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছে। কমেডি, অ্যাকশন, ড্রামা—সব ধরনের ছবি দর্শকদের টেনেছে।
তবে সব ছবি যে সাফল্যের মুখ দেখেছে তা নয়। ‘গেম চেঞ্জার’ আর ‘সিকান্দার’ নিয়ে অনেক আশা থাকলেও, সেগুলো প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। বড় বাজেট আর তারকা শক্তি সত্ত্বেও দর্শক টানতে ব্যর্থ হয়েছে এই সিনেমাগুলো।
এখন সবার চোখ বছরের দ্বিতীয়ার্ধের দিকে। কারণ আসছে একের পর এক হেভিওয়েট রিলিজ—হৃতিক রোশন ও জুনিয়র এনটিআরের ‘ওয়ার ২’, রজনীকান্তের ‘কুলি’, পাওয়ন কল্যাণের ‘ওজী’, ‘হরি হারা বীরা মল্লু’, ‘কিংডম’, ‘মিরাই’, রণবীর সিংয়ের ‘ধুরন্ধর’ এবং প্রভাসের ‘দ্য রাজা সাব’।
ট্রেড বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ছবিগুলো বক্স অফিসকে আরও বড় আকারে নাড়িয়ে দিতে পারে। ইতিমধ্যে প্রমাণ হয়েছে—২০২৫ সাল বাণিজ্যিক সাফল্যের দিক থেকে ২০২৪-এর চেয়ে এগিয়ে। এখন দেখা যাক, দ্বিতীয়ার্ধে ভারতীয় সিনেমা ঠিক কতদূর এগোয়।
এফপি