গণতন্ত্রের জন্য চায়না বা ওয়েস্টের দিকে তাকিয়ে লাভ নাই : মোশারফ আহমেদ ঠাকুর

শিক্ষক এবং বিএনপি নেতা মোশারফ আহমেদ ঠাকুর বলেছেন, চায়নার সঙ্গে বিএনপির একটা দীর্ঘ সময় সুসম্পর্ক ছিল। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান চায়না সফরের পরে এসে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তনটা আনেন এটা বেসিক্যালি চায়নার দ্বারা উনি প্রভাবিত হন। তবে আরেকটা হচ্ছে, চায়নার ভালো দিকগুলি হচ্ছে, চায়না ব্যবসা বাণিজ্য করতে চায়। চায়না এক্সপানশনিজমে বা অন্যের উপর খবরদারিটা করতে রাজনৈতিক খবরদারিটা খুব একটা বেশি করে না।


গতকাল মঙ্গলবার একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঐতিহাসিকভাবে এবং চায়নার কাছ থেকে আমরা প্রযুক্তিগতভাবে বহু সাহায্য নিতে পারি। আপনি দেখবেন যে আমাদের যে ছেলেমেয়েরা এখন ট্রিপলই করে, সিএসসি করে, কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং করে ওরা এখন তাদের শিক্ষার গন্তব্যকে চায়নার দিকে চিন্তা করে। তো এই যেমন ইলেকট্রনিক্স এন্ড ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং যারা করতে চায় এরা চায়নাকে তাদের গন্তব্য মনে করে।

কিন্তু যে চায়নার সঙ্গে বিএনপির যে ক্ষমতার সময়, বিএনপির ২০০১ থেকে ছয় পর্যন্ত। তো ওই সময়েও বাংলাদেশে চায়নার অনেকগুলো প্রতিনিধি দল এসছে। চায়না কমিউনিস্ট পার্টি বিএনপিকে মনে করতো তাদের সিস্টারড পার্টি। এটা কথা ছিল।

কিন্তু এটাও সত্য যে আওয়ামী সৈরাচারের সময় শেখ হাসিনার সৈরাচারের সময় যে ভারতের পরেই যারা সবার আগে এই অন্যায়, অবৈধ শরীর শাহাশাসনকে বা নির্বাচনগুলিকে সবার আগে যে স্বীকৃতি দিত এটার নাম চায়না। 

এখানে দুটা দিকই হতে পারে চায়নাকে আমরা মেনটেইন করতে পারি নাই বা চায়না আমাদের দিকে থাকতে চাই নাই ওই সময়। বাট সৈরচারের পতনের পর শেখ হাসিনার পলায়নের পর চায়না আবার বিএনপির দিকে সেই উষ্ণতার হাতটা বাড়াচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি, চায়না তো নিজেই গণতন্ত্র চর্চা করে না। গণতন্ত্রের জন্য চায়নার দিকে বা ওয়েস্টের দিকে তাকিয়ে লাভ নাই। 

গণতন্ত্রের জন্য আমরা নিজেদের শক্তির নিজেদের পায়ের যে ক্ষমতা আছে দাঁড়ানোর ক্ষমতাটা এটাই মূল। এটার উপরে ভরসা করতে হয়। কারণ শৈরাচার বিদায় করার জন্য আমাদের ছেলেমেয়েরা প্রায় ১৪০০ জন জীবন দিয়েছে। হাজার হাজার ছেলেমেয়েরা পঙ্গুত্ব বরণ করেছে। অন্ধত্ব বরণ করেছে। এইজন্য আমি মনে করি, গণতন্ত্রের জন্য ওই দেশের জনগণ কতটুকু গণতন্ত্রকে রক্ষা করে, তার অধিকার কতটুকু রক্ষা করতে পারে, এটার উপরই নির্ভর করে গণতন্ত্র কতটুকু থাকবে।


ইউটি/এসএন


Share this news on:

সর্বশেষ

img
এনসিপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ফের ককটেল বিস্ফোরণ Jul 10, 2025
img
শাপলা যদি প্রতীক না হতে পারে তাহলে ধানের শীষও পারবে না: সারজিস আলম Jul 10, 2025
img
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে দীর্ঘ যানজট Jul 10, 2025
img
আমাদের আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেটারের সংকট আছে: লিপু Jul 10, 2025
img
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্তে ৯ কেজি রুপা জব্দ Jul 10, 2025
img
১৫ বছর আগের থেকে অনেক বেশি যোগ্য ও পরিবর্তিত তারেক রহমান: মান্না Jul 10, 2025
img
সুন্দরবনকে অপরাধমুক্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশ Jul 10, 2025
img
১৮ জুলাই বিনামূল্যে ১ জিবি ইন্টারনেট দিচ্ছে সরকার Jul 09, 2025
img
টি-টোয়েন্টি দলে সাইফউদ্দিনকে নেওয়ার কারণ জানালেন অধিনায়ক লিটন Jul 09, 2025
img
বিশ্ববাজারে পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানে বাংলাদেশ Jul 09, 2025
img
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ডিসি-এসপি পদে রদবদল হবে Jul 09, 2025
img
ইলন মাস্কের এক্সের প্রধান নির্বাহীর পদত্যাগের ঘোষণা Jul 09, 2025
img
সরকারি দপ্তরে গাড়ি কেনা ও বিদেশ সফর বন্ধে অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা Jul 09, 2025
img
আগামী নির্বাচনে সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে: প্রেস সচিব Jul 09, 2025
img
নির্বাচনে সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে ভোটকেন্দ্র Jul 09, 2025
img
পলক কান্না করেননি, কান্না হয়ে গেছে: ইলিয়াস Jul 09, 2025
img
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের বৃহস্পতিবারের পরীক্ষা স্থগিত Jul 09, 2025
img
আমাদের জন্য কঠিন সিরিজ হবে : আসালাঙ্কা Jul 09, 2025
img
মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের বৃহস্পতিবারের আলিম পরীক্ষা স্থগিত Jul 09, 2025
img
স্থগিত হল কুমিল্লা বোর্ডের বৃহস্পতিবারের এইচএসসি পরীক্ষা Jul 09, 2025