বড় পোস্টার, চকচকে শহুরে ভাষা আর ভিজ্যুয়ালের বাইরেও দর্শক খুঁজে নেয় নিজের গল্প। আর ঠিক সেখানেই দাঁড়িয়ে রয়েছে পঞ্চায়েত। সিজন ৪ মাত্র দুই সপ্তাহেই ঝড় তুলেছে—ভিউ ছুঁয়েছে ১৬.৬ মিলিয়ন!
অথচ এর আগের সিজন, পঞ্চায়েত ৩, পেয়েছিল মোট ২৮.২ মিলিয়ন ভিউ। সেই সংখ্যার প্রায় ৬০ শতাংশ মাত্র ১৪ দিনেই ছুঁয়ে ফেলেছে সাচিবজির এই নতুন অধ্যায়।
সাপ্তাহিক ভিউয়ের নিরিখ অরম্যাক্স জানিয়েছে, ২৯ জুন থেকে ৬ জুলাই—এই সময়ের মধ্যে পঞ্চায়েত ছিল ভারতের সবচেয়ে বেশি দেখা ওয়েব কনটেন্ট। না নেটফ্লিক্স, না ডিজনি প্লাস, কেউ পারল না ফুলেরার গল্পকে টেক্কা দিতে।
শুধু সংখ্যার খেলায় নয়, সংলাপে, চরিত্রে আর আবেগে পঞ্চায়েত ৪ প্রমাণ করে দিল—এটা এখন শুধুই ওয়েব সিরিজ নয়, এক সাংস্কৃতিক আন্দোলন। সাচিবজি, বিন্দু, উপপ্রধানপ্রাণজি, এমএলএ-র লড়াইয়ের মধ্যে একেবারে ঘরের মতো আপন হয়ে উঠেছে এই সিরিজ।
জিতেন্দ্র কুমার আবার দেখালেন—নায়ক হতে বড় বাড়ি বা বন্দুক লাগেনা, লাগে হৃদয়।
কোটা ফ্যাক্টরি আর গুল্লাক-এর মতো জনপ্রিয় সিরিজকেও ছাড়িয়ে গেছে পঞ্চায়েত ৪।
কোটা ফ্যাক্টরি সিজন ৩ দেখেছে ১৫.৮ মিলিয়ন মানুষ, গুল্লাক সিজন ৪ মাত্র ১২.১ মিলিয়ন। পঞ্চায়েত দাঁড়িয়ে গেছে সবার ওপরে।
আর সবচেয়ে বড় চমক, পঞ্চায়েত সিজন ৫-এর ঘোষণা ইতিমধ্যেই এসেছে। মানে, ফুলেরার গল্প চলবেই, দর্শক আরও গভীরে ঢুকবে সেই কাদামাটি আর খোলা আকাশের হাওয়ায়।
এই গ্রামীণ গল্প, এই নীরব প্রতিরোধ, এই সহজ জীবনের গাঁথা এখন ভারতের স্ট্রিমিং জগতের সবচেয়ে বড় আশা। মির্জাপুর সিজন ৩-এর চেয়েও এখন বেশি উচ্চারণ হচ্ছে পঞ্চায়েত-এর নাম।
এই সিরিজ একা একা নয়, একটা গোটা ধারাকে ফিরিয়ে এনেছে—যেখানে গল্প হয় বিশ্বাসযোগ্য, চরিত্র হয় চিনে ফেলার মতো, আর আবেগ হয় একেবারে নিজের জীবনের মতো।
এসএন