টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজেও ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে শ্রীলঙ্কার কাছে সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। গতকাল অনুষ্ঠিত সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে লঙ্কানদের বিপক্ষে ৯৯ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। ফলে প্রথমবারের মতো লঙ্কানদের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন অপূর্ণই রয়ে গেল মেহেদী হাসান মিরাজদের। লঙ্কানরা ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে।
এই তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রতিটি ম্যাচেই অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি কোনো ম্যাচেই মিরাজের দল পুরো ৫০ ওভার ব্যাট করতে পারেনি, যা গভীর চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সিরিজজুড়ে বড় কোনো জুটিও চোখে পড়েনি। ক্রিজে থিতু হয়েও খামখেয়ালি শটে ব্যাটাররা উইকেট বিলিয়ে এসেছেন। তৃতীয় ওয়ানডেতে হারের কারণ হিসেবে জুটি গড়তে না পারাকেই দায়ী করেছেন টাইগার অধিনায়ক মিরাজ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, "এটা (৫০ ওভার ব্যাট করতে না পারা) অবশ্যই চিন্তার ব্যাপার। আমি মনে করি যে প্রপার ব্যাটিং করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হত। এটা নিয়ে কথা বলেছি আমরা। মিডল ওভারে যারা খেলে তাদের দায়িত্বটা অনেক বেশি। আমি নিজেও অনেক বল খেলতে পারিনি। এটা নিয়ে কাজ করার অনেক জায়গা আছে। সামনে অনেক খেলা আছে। যেহেতু আমি এই সিরিজে দায়িত্ব পেলাম। কোথায় উন্নতি করা দরকার, কোচের সঙ্গে কথা বলে সেগুলো ঠিক করার চেষ্টা করব।"
মিরাজের অভিমত, থিতু হওয়া ব্যাটাররা আউট হয়ে মোমেন্টাম প্রতিপক্ষের হাতে তুলে দিচ্ছেন। তিনি বলেন, "আমরা যারা সেট হচ্ছি তারা ফের আউট হয়ে যাচ্ছি। খেলাটা মোমেন্টামের ব্যাপার। যে মোমেন্টাম নিচ্ছে সেই আউট হয়ে যাচ্ছে। আমি, (তাওহিদ) হৃদয় কিন্তু প্রায় মোমেন্টাম ধরে ফেলেছিলাম। আমার আউটের পর তারা (শ্রীলঙ্কা) মোমেন্টাম পেয়েছে। দুই পার্টনারের স্ট্রাইক রোটেট করে কীভাবে লো রিস্ক খেলা যায়। হাই রিস্ক খেললে আউট হওয়ার চান্স থাকবে। এই জায়গাতে আমাদের কাজ করা দরকার।"
পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত শেষ ওয়ানডেতে স্বাগতিক লঙ্কানরা ২৮৬ রান তোলে। এই লক্ষ্য বেশি বড় ছিল কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, "না, উইকেটটা একটু ভালো ছিল। সত্যি কথা বলতে ওদের দুই ব্যাটার খুবই ভালো ব্যাট করেছে। আমরা তাদের সেরকম চাপে রাখতে পারিনি। বিশেষ করে কুশল মেন্ডিস যেভাবে ব্যাট করেছে। আমার মনে হয় রাতে উইকেটটা আরও ভালো হয়ে গিয়েছিল। ব্যাক টু ব্যাক উইকেট হারিয়ে আমরা হয়তো একটু চাপে পড়ে গিয়েছি।"
লঙ্কানদের দেওয়া ২৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। খেলতে পেরেছে কেবল ৩৯.৪ ওভার। দলের পক্ষে তাওহীদ হৃদয়ের ৫১ রান ছাড়া আর কেউ বলার মতো ইনিংস বড় করতে পারেননি। পারভেজ হোসেন ইমন ও মিরাজের ব্যাটে সমান ২৮ রান করে এসেছে, আর জাকের আলি করেন ২৭ রান।