রাজনীতিবিদরা সামনে বড় বড় কথা বলেন, ভিতরে ভিতরে চলে বোঝাপড়া: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, রাজনীতিবিদরা বা সরকারের সংশ্লিষ্টরা যেটা দেখায়, সেটাই পুরোটা সত্য নয়। তারা আসলে ঘটনাটার একদিক দেখায়, কিন্তু ভেতরের বাস্তবতা আড়াল রাখে। আমরা দেখেছি, রাজনীতিবিদরা সামনে এসে বড় বড় কথা বলেন, কিন্তু ভিতরে ভিতরে তাদের অভ্যন্তরীণ বোঝাপড়া চলে। বাইরে প্রতিপক্ষের মতো দেখালেও, ভেতরে একসাথে ব্যবসা চালান তারা।

বুধবার (৯ জুলাই) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিচার, সংস্কার ও নতুন সংবিধানের দাবিতে জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত পদযাত্রা ও পথসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা, ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট, সহ-সমন্বয়ক তানভীর মণ্ডল, ইয়াসিরুল কবীর সৌরভ এবং গোলাম রব্বানী।

সারজিস আলম বলেন, সরকারের পক্ষে কাজ করে যাওয়া একটি পুরাতন স্ট্যাবলিশমেন্ট আছে, যারা ভাগ-বাটোয়ারা করে চলে। আগে যেটা ছিল ৩০-৭০ ভাগ, এখন হয়েছে ৭০-৩০। কিন্তু পদ্ধতি একই- চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলদারিত্ব, মাদকের ব্যবসা, কালো টাকার রমরমা চলছেই।

তিনি বলেন, এই পরিবর্তনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে আমাদের কাজটি শেষ করতে হবে। রাজনৈতিক লড়াইটাকে রাজনৈতিক দলের মাধ্যমেই চালিয়ে যেতে হবে। কারণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনো স্বেচ্ছাসেবী বা ভলান্টিয়ার প্ল্যাটফর্ম দিয়ে দীর্ঘস্থায়ী রাজনৈতিক পরিবর্তন আনা সম্ভব নয়। এজন্য আমরা রাজনৈতিক দল হিসেবে এগোচ্ছি।

জুলাই বিপ্লবের সাহস ও শক্তিকে স্মরণ করে তিনি বলেন, যে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর শক্তি জুলাই আমাদের দিয়েছে, সেটা যেন আমরা ভুলে না যাই।

সর্বস্তরের জনগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি দেখেন কেউ আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, লুটপাট, ঘুষখোরি, মাদকের ব্যবসা কিংবা কালো টাকার অপকর্মে জড়াচ্ছে—সে যত বড় দলীয় নেতা বা সহযোদ্ধা হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। যেদিন আমরা কোনো ব্যক্তি, দল বা বসকে ভয় পেতে শুরু করব, প্রশ্ন করা ছেড়ে দেব, সেদিন থেকে আরেকটি ফ্যাসিস্ট শক্তির জন্ম নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

কেএন/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
বান্দরবানের লামা উপজেলার সব রিসোর্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ Jul 10, 2025
img
নারী কর্মকর্তাদের ‘স্যার’ সম্বোধন বাতিলের সিদ্ধান্ত Jul 10, 2025
img
ভারতে উপহার হিসেবে ৩০০ কেজি আম পাঠালেন প্রধান উপদেষ্টা Jul 10, 2025
img
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেবেন প্রবাসীরা: ইসি Jul 10, 2025
img
রেজাল্ট বাজে হয়েছে বা ফেল করেছেন বলে মন খারাপ করবেন না: খায়রুল বাসার Jul 10, 2025
img
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দলে ফিরলেন নাঈম-সাইফউদ্দিন Jul 10, 2025
img
সোশ্যাল মিডিয়ার তথ্য লুকালে মার্কিন ভিসা বাতিলের ঝুঁকি Jul 10, 2025
img
আমরা এখনও ঘনিষ্ঠ হই, আমিরের প্রাক্তন কিরণ Jul 10, 2025
img
চিত্রনায়িকা পপির চাচাকে নিজ বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ Jul 10, 2025
img
বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন সাবেক গভর্নরসহ ৯ শীর্ষ কর্তাদের নথি তলব Jul 10, 2025
img
রাজধানী ঢাকাসহ ১২ জেলায় হতে পারে ঝড় Jul 10, 2025
img
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ সংক্রান্ত দুই বিষয়ে একমত হয়েছে দলগুলো: আলী রীয়াজ Jul 10, 2025
img
পলিথিন বন্ধে শুরু হচ্ছে যৌথ বাহিনীর অভিযান : পরিবেশ উপদেষ্টা Jul 10, 2025
img
পুরো আসনের ভোটের ফল স্থগিত বা বাতিল করার ক্ষমতা ফেরত চাইল ইসি Jul 10, 2025
img
নির্বাচনের কারণে পেছাতে পারে এবারের বিপিএল Jul 10, 2025
img
এস আলম পরিবারের সিঙ্গাপুরের ব্যাংক হিসাব-শেয়ার ফ্রিজ Jul 10, 2025
img
চ্যালেঞ্জের পর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে গিয়েছি : আসিফ আকবর Jul 10, 2025
img
শাজাহান খানের মেয়ের সম্পদের বিবরণী চাইল দুদক Jul 10, 2025
শাপলা-দোয়েল বাদ, তালিকায় থাকল যেসব প্রতীক Jul 10, 2025
নিজের ভবিষ্যৎ গড়তে মা-বাবার বিরুদ্ধেই মামলা! কী বলছে আইন? Jul 10, 2025