ফুটবলের বৃহত্তর স্বার্থ বিবেচনায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দেশের আটটি জেলা পর্যায়ের স্টেডিয়ামকে বাফুফের অনুকূলে বরাদ্দ দিয়েছে। ২৫ বছরের জন্য বাফুফে এই স্টেডিয়াম ব্যবহার করতে পারবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পরিচালক ক্রীড়া আমিমুল এহসান বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বরাবর এই সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছেন।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া নীলফামারী স্টেডিয়ামকে ফুটবলের জন্য বরাদ্দের ঘোষণা দিয়েছিলেন আগেই। ৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বাফুফেকে আনুষ্ঠানিক চিঠিতে নীলফামারী স্টেডিয়ামকে ২৫ বছরের জন্য বরাদ্দ দেয়। ৯ সেপ্টেম্বর গাজীপুর শহীদ বরকত, ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়াম, মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ লেঃ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম, মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়াম রাজশাহী, নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়াম, কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম ও সিলেট জেলা স্টেডিয়ামকে ২৫ বছরের জন্য বাফুফেকে লিজ প্রদান করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
বরাদ্দ পাওয়া স্টেডিয়ামগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুৎ বিল, ভূমি কর বাফুফেকেই পরিশোধ করতে হবে। আয়-ব্যয়ের হিসাব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে দিতে হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শর্ত অনুসরণ করেই বাফুফের লিজ বজায় রাখতে হবে। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ৩ মাসের নোটিশে লীজ বাতিলের এখতিয়ার রাখে এমনটা চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে।
বাফুফে ফিফা-এএফসি’র অর্থায়নের মাধ্যমে স্টেডিয়ামের উন্নয়ন ঘটাতে চায়। ফিফা-এএফসি বাফুফের সরাসরি স্বত্ব বা অধিকার ২৫ বছর না হলে সেখানে অর্থায়ন করবে না। তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কাছে বাফুফের চাওয়া ছিল যেন লিজের মেয়াদ দুই যুগের বেশি হয়। ফুটবলের উন্নয়ন ও স্বার্থ বিবেচনা করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।
বাফুফেকে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম ২৫ বছরের জন্য বরাদ্দ দিয়েছিল এনএসসি। স্থানীয় ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকদের প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে বাফুফে সেই স্টেডিয়াম এখনো ভালোমতো বুঝে নিতে পারেনি। নতুনভাবে পাওয়া আট স্টেডিয়াম কবে প্রকৃতভাবে বুঝে নিতে পারবে তাই সেই প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। জেলা স্টেডিয়ামগুলোতে ফুটবলের পাশাপাশি জেলা ক্রীড়া সংস্থাগুলো হকি, কাবাডি, অ্যাথলেটিক্স, ভলিবল, খো খো সহ নানা খেলা আয়োজন করে থাকে। ফুটবল এককভাবে স্টেডিয়ামগুলোর অধিকার পেলে সেই জেলাগুলোতে অন্য খেলাগুলো সংকটে পড়তে পারে।
ইউটি/টিএ