জুলাই সনদ কোনো কবিতা না, আমাদের বাঁচার সনদ : হাসনাত আব্দুল্লাহ

দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা জুলাই সনদের জন্য আবার ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে মিলিত হব। জুলাই সনদ না দেওয়া হলে সেদিন আমাদের পেছনে ফেরার আর কোনো উপায় থাকবে না। আমরা ড. ইউনুসকে বলছি, এই জুলাই সনদ কিন্তু কোনো কবিতা না, কোনো রাজনৈতিক রেটোরিক না, এটা আমাদের পরবর্তীতে বাঁচার সনদ। এটা দ্বিতীয় বাংলাদেশের তফসিল, তাই জুলাই সনদ দিতেই হবে।

বুধবার (৯ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে অংশ হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে পথসভায় এসব কথা বলেন।

হাসনাত আব্দুলাহ বলেন, রাজনীতিবীদদের জন্য আমরা রাজনীতি কঠিন করে দেব এবং আমরা সেটা করে দেখিয়েছি। সবাইকে নিয়ে আমাদের থাকতে হবে, সবাইকে নিয়ে চলতে হবে। আমাদের মত পার্থক্যকে আমরা এন্টারটেইন করব। আমরা দ্বিমত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করব।

আমাদের সমাজে একসেস থাকবে না শুধুমাত্র ফ্যাসিবাদের, যারা আমাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে রুদ্ধ করতে চায় তাদের। নিকাব পরার স্বাধীনতাও থাকবে, না পরার স্বাধীনতাও থাকবে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানি আমরা আপনাদের প্রশ্নের ঊর্ধ্বে উঠতে পারব না। কারণ আমরা এমন একটা সময় এখন রাজনীতিতে করতে আসছি যখন একেকটা ফোন একেকটা মিডিয়া। গত দু’তিনদিন আগে আমরা মিডিয়াকে চ্যালেঞ্জ করেছি না? এদের হাজার হাজার কোটি টাকার ইনভেস্টমেন্ট। কিন্তু আমাদের ১২ হাজার টাকার একেকটা মোবাইলের সামনে কিন্তু ওরা দাঁড়াতে পারেনি। ওরা আজকে দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিছে। আমরা একেকটা মানুষ একেকটা মিডিয়া। আমরা একেকটা মানুষ একেকটা সাংবাদিক। আমরা একেকটা মানুষ একেকটা প্রশ্নকর্তা।

সুতরাং আমি ২ জনের চোখ ফাঁকি দিতে পারব, ১০ জনের চোখ ফাঁকি দিতে পারব কিন্তু আপনাদের ১০০ জনের ২০০টি চোখ ফাঁকি দিতে পারব না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, যুগ্ম সদস্য সচিব তাসনিম জারা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমন্বয়ক মোখলেসুর রহমান সুইটসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এমআর/এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফজলুর রহমানকে গালি দিয়ে স্লোগান দেওয়া ফারজানা চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার Sep 13, 2025
img
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আর নেই Sep 13, 2025
হাইকমিশনের খালি গাড়িতে ডিম নিক্ষেপ, নিরাপদেই ছিলেন মাহফুজ আলম Sep 13, 2025
‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে’ Sep 13, 2025
img
লিটমাস টেস্টের ফল কী বার্তা দিচ্ছে? Sep 13, 2025
img
চীনা বাণিজ্য সম্মেলনে যোগ দিল বাংলাদেশি প্রতিনিধি দল Sep 13, 2025
img
পিআর পদ্ধতি সাধারণ মানুষ বোঝে না: মাহমুদুর রহমান মান্না Sep 13, 2025
img
পাকিস্তানে সংঘর্ষে প্রাণ গেল অন্তত ১৯ সৈন্যের Sep 13, 2025
img
দেড় কোটি টাকা কানাডায় মেয়ের কাছে পাচার, অভিযোগে ও আলোচনায় সাবেক প্রধান শাহীনুল Sep 13, 2025
img
ফের শক্তিশালী বৃষ্টিবলয়ে প্রবেশ করছে দেশ Sep 13, 2025
img
জাকসুর ফলাফল ঘোষণায় এত সময় লাগার কারণ Sep 13, 2025
img
জাকের ও শামিমের ব্যাটে লড়াইয়ের পুঁজি পেল বাংলাদেশ Sep 13, 2025
‘আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে আমরা জানি, গোপালগঞ্জে দেখে এসেছি’ Sep 13, 2025
img
ছেলে ভিপি নির্বাচিত হওয়ায় গর্বিত সাদিক কায়েমের বাবা Sep 13, 2025
img
জুবিমেন্দির জোড়াগোলে আর্সেনালের দাপুটে জয় Sep 13, 2025
img
বিসিবির দায়িত্ব নিয়ে আবেগ প্রকাশ করলেন সাইমন টাফেল Sep 13, 2025
img
গতানুগতিক ধারার ভোটে ফের ফ্যাসিস্ট তৈরি হবে, টাকা পাচার হবে : রেজাউল করীম Sep 13, 2025
img
জামায়াত আল্লাহ ছাড়া কাউকে পরোয়া করে না: মাসুদ সাঈদী Sep 13, 2025
img
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় নাগরিকদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ : ডিএমপি কমিশনার Sep 13, 2025
img
রাশমিকাকে জাতীয় ক্রাশ বলা প্রচারের একটি কৌশল : মনোজ বাজপেয়ী Sep 13, 2025