ভারতের গর্বিত চলচ্চিত্র নির্মাতা এস এস রাজামৌলি যখন নতুন কোনও সিনেমা নির্মাণ করেন, তখন তা শুধুই একটি ছবি নয়, বরং হয়ে ওঠে এক বিশাল সিনেমাটিক ঘটনা। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ‘বাহুবলী’ এবং ‘আরআরআর’-এর পর এবার রাজামৌলি শুরু করছেন তার পরবর্তী মহাকাব্যিক ছবি ‘এসএসএমবি ২৯’, যেখানে মুখ্য ভূমিকায় থাকছেন সুপারস্টার মহেশ বাবু।
গুঞ্জন চলছে, তার বিপরীতে দেখা যাবে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জনাসকে। আর এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অভিনেতা আর মাধবন, মহেশ বাবুর বাবার চরিত্রে।
সিনেমা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র বলছে, এই গুরুত্বপূর্ণ বাবার চরিত্রটি প্রথমে অফার করা হয়েছিল তামিল সিনেমার সুপারস্টার চিয়্যান বিক্রমকে।
কিন্তু তিনি সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন বলে খবর। এরপরই প্রযোজক ও পরিচালকের নজর পড়ে আর মাধবনের দিকে। যদিও এই বিষয়ে এখনো কোনও অফিসিয়াল ঘোষণা আসেনি, তবুও অনলাইন দুনিয়ায় এই সম্ভাব্য কাস্টিং ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে।
এই সিনেমাটি হতে চলেছে এক গ্লোবাল অ্যাডভেঞ্চার থ্রিলার, যেখানে থাকবে অ্যাকশন, আবেগ, রোমাঞ্চ এবং চোখ ধাঁধানো ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা।
সিনেমাটির কিছু গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য শুটিং হবে আফ্রিকার কেনিয়াতে। সেখানেই থাকবে মহেশ বাবু এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার প্রথম পরিচয়ের দৃশ্য।
অন্যদিকে হায়দরাবাদে নির্মিত হচ্ছে এক বিশাল বরাণসী ঘাটের সেট, যা একদিকে তুলে ধরবে ভারতীয় ঐতিহ্য, অন্যদিকে পৌঁছে দেবে আন্তর্জাতিক মানের প্রযোজনার স্তরে।
ছবিটির বাজেট শুনলে চোখ কপালে ওঠে, সর্বমোট ব্যয় হতে পারে প্রায় ৯০০ থেকে ১০০০ কোটি টাকা। এটি ভারতের অন্যতম ব্যয়বহুল সিনেমা হিসেবেই ইতিহাসে জায়গা করে নেবে। শুরুর পরিকল্পনা ছিল ছবিটি দুটি ভাগে মুক্তি পাবে, কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে একক ছবির রূপেই এটি মুক্তি দেওয়া হবে। দীর্ঘমেয়াদি শুটিং চলবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। সিনেমাটি বড়পর্দায় আসতে পারে ২০২৭ সালে।
বর্তমানে আলোচনায় থাকা কাস্টিং তালিকায় রয়েছেন: মহেশ বাবু (প্রধান চরিত্রে), প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জনাস (সহ-অভিনেত্রী হিসেবে সম্ভাব্য), পৃথ্বীরাজ সুকুমারান (গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে), আর মাধবন (মহেশ বাবুর বাবার ভূমিকায় সম্ভাব্য) এবং চিয়্যান বিক্রম (প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন)।
যদি আর মাধবন চূড়ান্তভাবে এই চরিত্রে আসেন, তবে তিনি তার অভিনয়গুণে সিনেমাটিতে আবেগ, ভারসাম্য ও বাস্তবতাকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিতে পারেন। রাজামৌলির দৃঢ় নেতৃত্বে, এই বিশাল বাজেটের গ্লোবাল সিনেমাটি হতে চলেছে দশকের অন্যতম বড় সিনেমাটিক ইভেন্ট, যেটি শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, গোটা বিশ্বের চোখে পড়বে।
এমআর/এসএন