অতীতের রাজনীতির খেলার নিয়ম পাল্টাবো, খেলাকেও পাল্টে দেব: হাসনাত আবদুল্লাহ

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, আমরা প্রতিজ্ঞা করছি- অতীতের রাজনীতির যে ধারণা ছিল, যেই খেলা ছিল, সেই খেলার নিয়মতো পাল্টাবোই, খেলাকেও পাল্টে দেব। এই রাজনীতি রাজনীতিবিদদের জন্য আমরা কঠিন করে ছাড়ব। রাজনীতি, রাজনীতিবিদদেরকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে আমরা বাধ্য করব। রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা জবাবদিহি করতে বাধ্য করব।

‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’ কর্মসূচিতে বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) বিকেলে নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, নির্বাচন, জনগণ এবং রাজনীতি যদি করতেই হয়, তাহলে চাকরি ছেড়ে দিয়ে এসে এবং ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে দিয়ে এসে রাজনীতির মাঠে এসে রাজনীতি করুন।

গলফ খেলিয়ে, হসপিটালে ভর্তি করিয়ে রাজনীতিতে যারা ইন্টারফেয়ার করার চেষ্টা করছেন, আপনারা ফাউল করছেন। খুব শিগগিরই আপনারা রেডকার্ড দেখবেন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের একটা নির্বাচন যে কমিশন আছে। আমাদের আগেও তো একটা নির্বাচন কমিশন ছিল, হুদা নির্বাচন কমিশন, রকিব নির্বাচন কমিশন, আমাদের নির্বাচন কমিশনাররা দিনের ভোট রাতে করে দিয়েছে। তারা পুলিশ, সেনাবাহিনীকে সাক্ষী রেখে রাতের বেলায় ভোট কেটে নিয়েছে। কবর থেকে এমনও শুনেছি মরা মানুষ এসে ভোট দিয়ে গেছে।

এমনও শুনেছি দাদা-দাদি ২০ বছর আগে মারা গিয়েছে, উনিও নাকি ভোটার লাইনে এসে ভোট দিয়ে গেছে। এগুলো ছিল হুদা কমিশনের কাজ। এই হুদা কমিশনের নুরুল হুদার পরিণতি কিন্তু আজকে জাতি দেখছে। জুতার মালা গলায় দিয়ে উনি কারাগারে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গতকাল আমাদের নির্বাচন কমিশন বলে দিয়েছে শাপলা মার্কা নাকি আমাদেরকে দেওয়া হবে না। তারা মিটিং করেছে আজকে, কিন্তু মিটিং করার আগে গতকালই ফলাফল জানিয়ে দিয়েছে। অর্থাৎ ভোটের আগের ফলাফলের মতো আমাদের নির্বাচন কমিশন এখন মিটিংয়ের আগেই ফলাফল জানিয়ে দেয়। আমরা ধিক্কার জানাই এই নির্বাচন কমিশনের দ্বিচারিতাকে। তারা মিটিং করেছে আজকে, কীভাবে গতকালই ফলাফল জানিয়ে দেয় যে শাপলা মার্কাকে তারা দেবে না।

নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে এনসিপির এই নেতা বলেন, আপনাদের রিমোর্ট কন্টোলটা কোথায়? সেটা কিন্তু আমাদের জানা আছে।

তিনি বলেন, আমরা দেখতাম নির্বাচনের আগে জিএম কাদের যায় ভারতে। এরশাদ যেত ক্যান্টনমেন্টে গলফ খেলতে। জিএম কাদের ভারত থেকে এসে বলতো আমরা সরকারের সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেব যে আমরা সরকারে থাকব, নাকি বিরোধী দলে থাকব। আমাদের কাছে খবর আছে এই নির্বাচন কমিশনের কারা কারা কিছু দিন আগে ক্যান্টনমেন্টে সিএমএইচে ভর্তি ছিলেন। আমাদের কাছে কিন্তু খবর আছে। এরশাদকে যেভাবে গলফ খেলতে নিয়ে যেত, ঠিক একইভাবে এখন অনেককেই ধরে ধরে সিএমএইচে নিয়ে যাওয়া হয়। কোন জায়গা থেকে পরিচালিত হচ্ছে? রাজনীতি যে কোথায় চলে?

নড়াইলের পথসভায় আরও বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম প্রমুখ।

আরআর/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
‘বাহুবলী ৩’ এখনো ঘুমিয়ে আছে, মরে যায়নি Jul 12, 2025
img
‘সরকার বরাবরের মতোই নীরব’, মিটফোর্ডের ঘটনায় বাঁধন Jul 12, 2025
img
মিটফোর্ডের ঘটনায় আরও একজনসহ মোট গ্রেফতার ৫ Jul 12, 2025
img
কেবল পর্দার সামনে নয়, ক্যামেরার পেছনেও আসছেন এই অভিনেতারা Jul 12, 2025
তোমরা তো ১৩ মাসের নেতা; মুখ খুললেন সাংবাদিক নেতারা! Jul 12, 2025
img
'তারেক রহমানকে নিয়ে রাজপথে যে অশ্লীল অশ্রাব্য স্লোগান দেয়া হচ্ছে তার পরিণতি ভালো হবে না' Jul 12, 2025
img
নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতায় আসমান জমিন ফারাক: রিফাত রশিদ Jul 12, 2025
img
শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিলেও ফিনিশিংয়ে ভরসা পাচ্ছেন না কোচ Jul 12, 2025
img
কুবি শিক্ষার্থীদের ৩টি বাস উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিলেন উপদেষ্টা আসিফ Jul 12, 2025
img
ফেনীর বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শনে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম Jul 12, 2025
img
মধ্যপ্রাচ্যে ট্রাম্পের ‘শান্তির তত্ত্ব’ ভেস্তে গেছে: ইরান Jul 12, 2025
img
আবারও একসঙ্গে রাজ–মন্দিরা, আসছে ‘প্রতিদ্বন্দ্বী’ Jul 12, 2025
img
জোতাকে সম্মান জানিয়ে চিরতরে অবসরে লিভারপুলের ২০ নম্বর জার্সি Jul 12, 2025
img
পাশবিক এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেয়া হবে: আসিফ নজরুল Jul 12, 2025
img
অনুমতি ছাড়া মাছ ধরায় সৌদিতে বাংলাদেশি আটক Jul 12, 2025
img
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ১ বাংলাদেশি Jul 12, 2025
img
গাজাকে শিশুদের কবরস্থান বানাচ্ছে ইসরাইল: জাতিসংঘ Jul 12, 2025
img
মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাষ্ট্রদূত মুশফিকের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া Jul 12, 2025
img
উইম্বলডন থেকে বিদায় নিলেন সার্বিয়ান তারকা জোকোভিচ Jul 12, 2025
img
বিচ্ছেদের গুঞ্জনে মুখ খুললেন নয়নতারা Jul 12, 2025