৭ ঘণ্টা বন্ধ ছিল পাইকগাছা-ঢাকা সড়কের যান চলাচল

খুলনা-পাইকগাছা-কয়রা সড়কে বেহাল দশার কারণে যাত্রীবাহী বাস ও মালবাহী ছোট-বড় ট্রাক চলাচল বন্ধ ছিল ৭ ঘণ্টা।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) গভীর রাতে কপিলমুনির ফকিরবাসা মোড়ে বেহাল রাস্তায় ট্রাক আটকে যায়। সে কারণে ভোর থেকে সব ধরনের বাস-ট্রাক চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে বাস মালিক সমিতি।

খুলনা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে খুলনা-পাইকগাছা রুটে প্রতি ১২ মিনিট পর পর একটি গাড়ি ছেড়ে যায়। সে হিসেবে ১২০টি গাড়ি চলাচল করে। সড়ক খারাপ হওয়ার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।

পাইকগাছা ঢাকা পরিবহন স্ট্যান্ড কমিটির সভাপতি আতাউর রহমান জানান, পাইকগাছা, কয়রাসহ পার্শ্ববর্তী আশাশুনি উপজেলা মানুষ আঠারো মাইল-পাইকগাছা সড়ক ব্যবহার করে সারা দেশের বিভিন্ন জেলার সঙ্গে যাতয়াত করে। কিন্তু সড়কের বেহাল অবস্থার কারণে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। প্রায় আমাদের গাড়ি সড়কের মধ্যে বিকল হচ্ছে। এ উপজেলা থেকে ঢাকাসহ বিভাগীয় বিভিন্ন শহরে সকাল-বিকেল মিলে অনন্ত ৭০টা বড় পরিবহন যাতায়াত করে।

পাইকগাছা মৎস্য আড়ৎদারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন জানান, পাইকগাছা কয়রা সাদা সোনা খ্যাত এলাকা হওয়ায় প্রতিদিন অনেক মাছ ও কাঁকড়াভর্তি ট্রাক যাতায়াত করে। কিন্তু সড়কের কারণে দেশের বিভিন্ন জেলার মাছের বাজারে পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। আমরা প্রতিদিন লস করছি।

বাস ড্রাইভার ফারুক হোসেন জানান, বেহাল সড়কের কারণে গাড়ি চালাতে খুব সমস্যা হচ্ছে। যখন তখন গাড়ি নষ্ট হচ্ছে। যাত্রীদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। সকাল ৫টা থকে গাড়ি বন্ধ ছিল। সড়কে আটকে থাকা গাড়ি উদ্ধারের পর মালিক সমিতি ইট-বালু দেওয়ার পর ১১টায় আবার চলাচল শুরু হয়।

বাস মালিক সমিতির সহসভাপতি অমরেশ কুমার মণ্ডল জানান, আঠারো মাইল থেকে পাইকগাছা পর্যন্ত ছয় স্থানের রাস্তার খুব খারাপ অবস্থা। তালা থানা-ব্রিজ মোড়ের মধ্যেবর্তী স্থান এবং কপিলমুনি ফকিরবাসা মোড়, গোলাবাটী মোড়, মুচির পুকুরের মোড়ের অবস্থা খুবই খারাপ। আমরা মালিক সমিতির পক্ষ থেকে ইট-বালু ফেলে মেরামতের চেষ্টা করছি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও কোনো কাজ হয়নি।

খুলনা সওজ-এর অতিরিক্ত প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, সড়কের বাঁক সরলীকরণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করতে দেরি হওয়ায় কাজ শেষ করতে সময় লেগেছে। অর্থছাড় হয়েছে, অচিরেই এ সড়কের কাজ শুরু হবে।

পিএ/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইরান সফরের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেন লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী Dec 10, 2025
img
ফ্যাসিবাদমুক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে: রাশেদ খান Dec 10, 2025
রাগ দূর করার উপায় Dec 10, 2025
গাজীপুরে বিএনপির জনসভায় নেতা-কর্মীদের ঢল Dec 10, 2025
শাহরুখের ফ্যাশন ও অভিনয়ের জাদু তালিকায় পৌঁছালো Dec 10, 2025
শিল্পের সমৃদ্ধি ও সৃজনশীলতায় সমতা চাইছেন অপু বিশ্বাস Dec 10, 2025
img
অবশেষে হামজা–জামালদের হাতে এলো ভারতবধের পুরস্কার Dec 10, 2025
img
মাতৃত্ব নয়, পরিচয় আসা উচিত কাজ থেকে: শাবানা আজমি Dec 10, 2025
img
আমার প্রেস সেক্রেটারির ঠোঁট মেশিনগানের মতো: ট্রাম্প Dec 10, 2025
img
পুলিশি নিরাপত্তায় সচিবালয় ছাড়লেন অর্থ উপদেষ্টা Dec 10, 2025
img
সিনেমা করলে নাটক ছাড়তে হবে, এমন কোনো কথা নেই : তানিয়া বৃষ্টি Dec 10, 2025
img
দেশ রক্ষার জন্য যুদ্ধে নামতে হবে, নয়তো দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে: তারেক রহমান Dec 10, 2025
img
৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ অর্থ উপদেষ্টা, এবার কঠোর অবস্থানে পুলিশ Dec 10, 2025
img
ভারতে পা দিয়েই কপিল শর্মার উদ্দেশে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কড়ার্বাতা Dec 10, 2025
img
পদত্যাগের পর আসিফ-মাহফুজকে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ পরামর্শ Dec 10, 2025
img
অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ব্রাকসু নির্বাচন Dec 10, 2025
img
সরকারি প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীত Dec 10, 2025
img
প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে কঠোর সমালোচনা করলেন কেট উইন্সলেট Dec 10, 2025
img
‘উপদেষ্টা আসিফ জোর করেই আমাকে কুমিল্লার দায়িত্ব দিয়েছেন’ Dec 10, 2025
img
ব্যারিষ্টার ফুয়াদের বিরুদ্ধে নিজ এলাকায় ঝাড়ু মিছিল Dec 10, 2025