বলিউড থেকে সরাসরি সংসদ—এই যাত্রাপথে ছিলেন আলোচিত, বিতর্কিত, আবার প্রশংসিতও। তবে ভোটে জিতে সাংসদ হয়েও রাজনীতিতে মন বসাতে পারছেন না কঙ্গনা রনৌত। একের পর এক মন্তব্যে যেন নিজেই ফাঁস করে দিচ্ছেন, সংসদ সদস্য হওয়া তাঁর কাছে কতটা ‘শখ’, কতটা দায়!
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনা অকপটে বলেছেন, “রাজনীতি খুব দামী একটা শখ।” কথাটা শুনে চমকে গিয়েছিলেন সাংবাদিক নিজেও। কিন্তু কঙ্গনা ছিলেন স্থির। আবারও জোর দিয়ে বললেন, “অবশ্যই শখ। আপনি সাংসদ হলে রাজনীতি পেশা হতে পারে না। কারণ, একজন সৎ সাংসদ হলে শুধু এই বেতনে সংসার চলে না। একটা চাকরি তো লাগেই।”
পঞ্চায়েত পর্যায়ের নানা সমস্যা নিয়ে প্রতিদিনই মানুষ ছুটে আসছেন তাঁর কাছে। ছোটখাটো সমস্যা, এলাকা চষে বেড়ানো আর উপার্জনের টানাপোড়েন—এই বাস্তব চিত্র তুলে ধরে কঙ্গনার মুখে ফুটে উঠল এক হতাশার সুর। বললেন, সাংসদের যে বেতন, তার বেশির ভাগই চলে যায় গাড়িচালক ও রাঁধুনির বেতনেই। বাকি যা থাকে, তা দিয়ে সংসার চলে না।
জানালেন, তাঁর কেন্দ্র মান্ডিতে একটি অঞ্চল থেকে আরেকটিতে যেতে সময় ও খরচ দুই-ই হয় প্রচুর। অঞ্চলগুলোর মাঝে দূরত্ব প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ কিলোমিটার। ফলে মাটির রাজনীতির বাস্তবতা তাঁকে বুঝিয়েছে, এই পেশা একরকম ‘খরচসাপেক্ষ শখ’।
আর এখানেই থামেননি কঙ্গনা। জানালেন, মন্ত্রকের দায়িত্ব না পাওয়া নিয়েও তাঁর মধ্যে একধরনের আক্ষেপ রয়ে গেছে। বলেন, “আমি চিত্রপরিচালক, লেখক, পদ্মভূষণ প্রাপ্ত। দলের জন্য অনেক কাজ করেছি। আমার কেন্দ্রে জেতা সহজ ছিল না। তাই ভেবেছিলাম, একটা মন্ত্রকের দায়িত্ব অন্তত পাব।”
বলিউডের রঙিন আলো থেকে রাজনৈতিক বাস্তবতায় পা রাখতেই যাঁর চোখ খুলে গেল, সেই কঙ্গনা আজ আর রাজনীতি উপভোগ করতে পারছেন না। প্রশ্ন উঠছে—তবে কি এবার ফের সিনেমার দিকেই ফিরবেন এই ‘কুইন’?
এসএন