রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী সোহাগকে যুবদল নেতা কর্তৃক পাথর দিয়ে পিটিয়ে ও মাথা থেঁতলে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হল থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বিজয়-২৪ হল হয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে গ্রাউন্ড ফ্লোরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় প্রতীকী সড়ক অবরোধ করে ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কে ২০ মিনিট অবস্থান করে স্লোগান দেন তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। তারা বলেন, আমরা এমন বাংলাদেশ চাইনি, যেখানে প্রকাশ্যে এভাবে একজন মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করা হবে। আমরা নৃশংসতা সহ্য করার জন্য জুলাই গণ-অভ্যুত্থান করিনি। যথাযথ বিচার না হলে এ ধরনের বর্বরতা বারবার ঘটবে—উল্লেখ করে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান তারা।
বুধবার (৯ জুলাই) রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব মাহমুদ বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, যে জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের পরাজয় হয়েছিল, সেই জুলাই বিপ্লব আবার চাই না। কিন্তু যদি কেউ সন্ত্রাসী হয়ে উঠতে চায়, তাহলে বাংলাদেশে আবারও জুলাই আসবে।’
আইন বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম শাহেদ বলেন, ‘৫ আগস্ট যে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছি, দুঃখজনকভাবে আমরা দেখছি—নতুন বাংলাদেশে নতুনভাবে ফ্যাসিবাদের পদোন্নতি ঘটছে। আমরা এই বাংলাদেশে আর কোনো ফ্যাসিবাদ দেখতে চাই না।
২৪-এর আন্দোলনে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস যেমন প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল, এবারও যদি কেউ ফ্যাসিস্ট হতে চায়, তাহলে ফের প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ চাই, এই সন্ত্রাসীদের দেখতে চাই না।’
বিক্ষোভ মিছিল শেষে আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন রসায়ন বিভাগের রাকিব মাহমুদ, হাসিবুল হোসেন, দর্শন বিভাগের ইফতেখার সায়েম, নাসিম বিল্লাহ, আইন বিভাগের শহিদুল ইসলাম শাহেদ, মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।
ইউটি/টিএ