প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেছেন, আগের ৩টা নির্বাচন প্রকৃত নির্বাচন ছিল না, জনগণের অংশগ্রহণ ছিল না। সেটা নিয়ে আমরা চিন্তিত না। আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠু যেন হয়, সেটা এনশিওর করা হবে। প্রায় ৪৭ হাজার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে, সব কেন্দ্রে পুলিশ রাখা সম্ভব হবে না, তবে আনসার থাকবে।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজশাহীতে সকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি কথা বলেন। এ সময় গণমাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড করার দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র এসিসট্যান্ট প্রেস সেক্রেটারি ফয়েজ আহম্মদ, এসিসট্যান্ট প্রেস সেক্রেটারি শুচিস্মিতা, রাজশাহী জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার, রাজশাহীর উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. তৌহিদুজ্জামানসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে সরকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।’
গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে আজাদ বলেন, ‘সরকারের কারও প্রতি কোনো রাগ-অনুরাগ নেই। সাংবাদিকরা কোনো রাজনৈতিক দলের দ্বারা হয়রানির শিকার না হন, সেটা দেখা হবে। এবার নিরপেক্ষ থাকবে প্রশাসন। আপনারা প্রশাসনকে জানাবেন, অনিয়ম দেখলে দ্বিধাহীন চিত্তে রিপোর্ট করবেন। আমরা বিশ্বাস করি, সমস্যাগুলো দ্রুত কেটে যাবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহকারী মহাসচিব ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন বলেন, একটা সরকার কীভাবে ফ্যাসিস্ট হয়ে উঠল? স্বৈরাচারের সময় গণমাধ্যমের দায় ছিল, বড় ভূমিকা ছিল। গত ১৫ বছরে ৬১ জন সহকর্মী সাংবাদিককে হারিয়েছি, গত আন্দোলনেই আমরা ৬ জন সাংবাদিক হারিয়েছি। সাগর-রুনি খুন হয়ে চলে গেছেন।
বৈশ্বিক গণমাধ্যম সূচকে ৪৪ ধাপ পিছিয়েছি। কিন্তু গত এক বছরে আমরা গণমাধ্যমের কোনো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারই দেখতে পাচ্ছি না। খুন-গুমের সঙ্গে যারা জড়িত ছিল, তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা দেখতে পাচ্ছি না। বিগত সরকার অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করেছিল, আজও তারা ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মিডিয়ার ক্ষেত্রে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার। মফস্বলের সাংবাদিকরা অলরাউন্ডার। তাদের নির্দিষ্ট বিট থাকে না, সব বিটেই কাজ করতে হয়। কিন্তু সে মোতাবেক মূল্যায়ন হয় না।
উত্তরে উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘গত এক বছরে গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। হয়রানি আইনের ক্ষেত্রে গত ৫ বছরে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট করে হয়রানি করা হয়েছিল। সেটা বাতিল করা হয়েছে। নতুন বোতলে পুরনো মদ সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করেছিল, সেটাও বাতিল করা হয়েছে। সাংবাদিকের নামে হওয়া হয়রানিমূলক মামলাগুলোও প্রত্যাহার করা হয়েছে। বন্ধ গণমাধ্যম ২/১ টি প্রকাশ হতে শুরু হয়েছে।
আরআর/টিকে