লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনে উত্তেজনাপূর্ণ এক সমাপ্তি ঘিরে ইংল্যান্ডের ট্যাকটিক্স নিয়ে ভারতের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছেন ইংল্যান্ড দলের বোলিং কোচ টিম সাউদি। তার মতে, ম্যাচের আগের দিন ভারত নিজেরাই সময় নষ্ট করেছে, তাই অভিযোগ করার কোনো অধিকার তাদের নেই।
ঘটনার সূত্রপাত হয় তৃতীয় দিনের শেষ মুহূর্তে, যখন ইংল্যান্ডের ওপেনার জ্যাক ক্রলি ভারতের পেসার জাশপ্রিত বুমরার মুখোমুখি হন। প্রথম বল খেলার পর বারবার সময় নেন ক্রলি।
আঙুলে বল লাগার অজুহাতে ডাকেন ফিজিওকেও। যার ফলে দিনের শেষ মুহূর্তে দুটি ওভার হওয়ার কথা থাকলেও ক্রলির সময়ক্ষেপণ ও আঙুলে চোট লাগার নাটকে তা নেমে আসে একটি ওভারে।
এই সময় ভারতীয় ফিল্ডারদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়। অধিনায়ক শুবমান গিল জ্যাকক্রলির দিকে অশালীন ভঙ্গি ও ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানান।
পরে স্কাই স্পোর্টস দর্শকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে গিলের ভাষার জন্য।
এ প্রসঙ্গে সাউদি বলেন, ‘শেষ মুহূর্তে দুই দলের উত্তেজনা সবসময়ই দেখার মতো। কিন্তু ওরা কী নিয়ে অভিযোগ করছে বুঝতে পারছি না, শুবমান তো আগের দিন মাঠেই শুয়ে ম্যাসাজ নিচ্ছিল ‘
তিনি আরো বলেন, ‘এটা খেলারই অংশ। এমন উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে এটা স্বাভাবিক।’
সময় নষ্টের অভিযোগ করেন ভারতীয় ব্যাটার কেএল রাহুল। তিনি বলেন, ‘আমরা দুটো ওভার বল করতে চেয়েছিলাম। ছয় মিনিট বাকি থাকলে সেটা স্বাভাবিকভাবেই হওয়া উচিত। সবার মনোবল তখন তুঙ্গে ছিল, কারণ দিনের শেষ মুহূর্তে উইকেট নেওয়া দারুণ ব্যাপার হতো।’
তবে অনেকেই মনে করছেন, ভারতও সময় নষ্ট করেছে।
দ্বিতীয় দিনে শুবমান গিল মাঠে ম্যাসাজ নিয়েছেন, কেএল রাহুল ছিলেন মাঠের বাইরে। এর ফলেই ব্যাটিং অর্ডারেও জটিলতা দেখা দিয়েছিল।
ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন বলেন, ‘এটা সময় নষ্ট করার সবচেয়ে ভালো উদাহরণগুলোর একটি। কিন্তু ভারত অভিযোগ করতে পারে না, কারণ আগের দিন তারাও একই কাজ করেছে। তবে নাটকটা চমৎকার ছিল।’
অন্যদিকে স্যার অ্যালাস্টার কুক বলেন, ‘এই সিরিজটা এমন একটা কিছু চাইছিল। এতদিন খেলোয়াড়রা বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল, কিন্তু এমনই হয়— পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এ ধরনের উত্তেজনা দেখা যায়ই।’
তিনি ব্যঙ্গ করে আরো বলেন, ‘ডাকেট ছিল যেন একটা ছোট কুকুর—সব বড় বড় কুকুরের মাঝে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ সিরাজের সঙ্গে তর্ক করছে!’
এমআর/টিকে