সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ। হিমালয় কন্যাদের বিপক্ষে সাফ জয়ের সুখস্মৃতি থাকায় এই ম্যাচ জয়ে আত্মবিশ্বাসী লাল সবুজ। অন্যদিকে, ভুটানের বিপক্ষে আসরের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে দারুণ ফর্মে আছে নেপালও।
আসরের হাইভোল্টেজ এ লড়াইয়ে দু'দলের ম্যাচ শুরু হবে রোববার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায়।
ছুটেই চলেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের জয়ের ধারা। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে দাপটের সঙ্গে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা দলগুলোকে হারিয়েছে লাল সবুজ বাহিনী। স্বাগতিক মিয়ানমার, বাহরাইন আর তুর্কমেনিস্তানকে হারিয়ে মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করেছে পিটার বাটলারের দল। এবারের মিশন সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানেও উদ্বোধনী ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে গোলবন্যায় ভাসিয়ে আসরে শুভ সূচনা করে আফঈদা-সাগরিকারা।
অনূর্ধ্ব-২০ সাফের দলে আছেন এশিয়ান কাপের স্কোয়াডের ৮ ফুটবলার। আফঈদা খন্দকার, স্বপ্না রানী, উমেহ্লা মারমা, মুনকি আক্তারসহ এশিয়ান কাপের স্কোয়াডে থাকা ফুটবলারদের নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী পিটার বাটলার। সাফের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মেয়েদের ৯-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে ফুরফুরে মেজাজে আছে পুরো দল। একদিনের ব্যবধানেই আবারো মাঠে নামবে বাংলাদেশ। তাই অনুশীলন নয়, হোটেলে রিকভারি সেশন করেই নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছেন ফুটবলাররা।
আসরের অন্যতম শক্তিশালী নেপালের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামতে যাচ্ছে বাংলাদেশ দল। ২০২৩ এ এই ফরম্যাটে হিমালয় কন্যাদের ৩-০ গোলে হারিয়ে সাফ অনূর্ধ্ব ২০ এর শিরোপা উঁচিয়ে ধরে লাল সবুজ বাহিনী। এবার ঘরের মাঠে সেই নেপাল বধের মিশন জয়িতাদের সামনে।
হিমালয়ের দেশটি প্রতিশোধ নিতে চাইলেও ছাড় দেবে না লাল সবুজ। প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দারুণ ফর্মে বাংলাদেশ। যদিও, টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভুটানকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দেয় নেপাল। আসরের প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতে আত্মবিশ্বাসী তারাও।
যদিও, নেপালকে নিয়ে মোটেও ভীত নয় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে সমীহ করেই মাঠে নামতে চায় বাটলারের দল। নেপালের বিপক্ষে জয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য জয় তু্লে নেওয়া। যেভাবেই হোক, এ টুর্নামেন্টে আমাদের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’
গোলরক্ষক কোচ মাসুদ আহমেদ উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা কোনো দলকেই ছোট মনে করছি না। প্রতিটি দলকেই শক্তিশালী ভাবছি। আমরা আমাদের সেরাটা দিয়ে এবং আমাদের যে যোগ্যতা তা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছি। নেপাল শক্তিশালী দল এবং টুর্নামেন্টে আমাদের প্রধান প্রতিপক্ষ। আমরা আমাদের শতভাগ দিয়ে জয় নিয়ে মাঠ থেকে ফিরতে চাচ্ছি।’
প্রথম ম্যাচে ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় অনেকগুলো গোলের সুযোগ মিস করে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে সেসব ভুল শুধরে নেপালের বিপক্ষে গোল ব্যবধান বড় করেই জিততে মরিয়া আফঈদা-সাগরিকারা।
এমআর/টিকে