সিগারেটের চেয়ে ই-সিগারেট সেবন কম ক্ষতিকর

‘ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর’ এই প্রবাদটি কম বেশি সবারই জানা। কিন্তু বাস্তব জীবনে মানুষ খুব কম সময়ই এই সতর্কবার্তা মেনে চলে। এটা জানা সত্ত্বেও অনেকে এ অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না। তাদের জন্য ছোট হলেও এটা একটি সুসংবাদ যে, গতানুগতিক সিগারেটের তুলনায় ইলেক্ট্রনিক সিগারেট (ই-সিগারেট) অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকর। এটা কারো মনগড়া কথা নয়।

সম্প্রতি ‘জামা নেটওয়ার্ক ওপেন’ জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, গতানুগতিক সিগারেটের তুলনায় ইলেক্ট্রনিক সিগারেটে টক্সিকের পরিমাণ অপেক্ষাকৃত কম।

সংশ্লিষ্ট গবেষক মেকিজ গনিউইজ বলেন, সিগারেটের স্বাস্থ্যঝুঁকি নির্ণয়ের একটি কৌশল হল দেহে কী পরিমাণ টক্সিক রয়েছে তা পরিমাপ করা। গবেষণায় দেখা যায় যে, যারা গতানুগতিক সিগারেট সেবন করেন তাদের তুলনায় যারা ইলেক্ট্রনিক সিগারেট সেবন করেন তাদের দেহে টক্সিকের পরিমাণ কম।

গবেষক গনিউইজ বলেন, তারা আমেরিকার ৫১০৫জন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের উপর গবেষণা করেছেন। এতে দেখা যায়, যারা ই-সিগারেট সেবন করে তাদের দেহেও বিভিন্ন ধরনের টক্সিক রয়েছে। তবে এর পরিমাণের মাত্রা গতানুগতিক সিগারেট সেবনকারীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যহারে কম।

দেখা যায়, ই-সিগারেট সেবনকারীদের দেহে অন্যান্য সিগারেট সেবনকারীদের তুলনায় নিকোটিনের পরিমাণ ৯৩ শতাংশ কম।

গবেষক গনিউইজ বলেন, যারা ধুমপান ছেড়ে দিতে চান বা ধুমপানের ঝুঁকি হ্রাস করতে চান, তাদের জন্য গতানুগতিক সিগারেটের তুলনায় ই-সিগারেট একটি উত্তম সমাধান হতে পারে। তবে ই-সিগারেট যথাযথ প্রক্রিয়ায় ভোগ করা হলেই কেবল এটা কম ক্ষতিকর হবে বলে তিনি মনে করেন। কারণ যারা ই-সিগারেটের পাশাপাশি গতানুগতিক সিগারেট সেবন করেন তাদের জন্য এটা খুবই ক্ষতিকর।

ওকলাহোমা টোব্যাকো গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ও ওকলাহোমা বিশবিদ্যালয়ের হেলথ সাইন্স সেন্টারের গবেষক থিওডোর ওয়েগনার বলেন, তাদের অপর একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা সিগারেট ও ই-সিগারেট দুটোই ভোগ করেন তাদের দেহে টক্সিকের পরিমাণ অন্যদের থেকে সবচেয়ে বেশি।

তাই যারা ধুমপানের অভ্যাস ছাড়তে পারছেন না তাদেরকে গতানুগতিক সিগারেটের পরিবর্তে শুধু ই-সিগারেট ভোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষক গনিউইজ।

 

টাইমস/এএইচ/জিএস

Share this news on:

সর্বশেষ

img
প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত স্ট্যাটাস দেয়ায় সহকারী কমিশনার চাকরিচ্যুত Jul 02, 2025
img
২৭১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ, এস আলমের সাইফুল-পিকে হালদারসহ আসামি ১৫ Jul 02, 2025
img
বিপিএলের নিলাম অক্টোবরের আগে হবে না : মাহবুব আনাম Jul 02, 2025
img
সীমানা পুনর্নির্ধারণে স্বচ্ছতার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি হবে: জামায়াতের নায়েবে আমির Jul 02, 2025
img
দলীয় প্রতীক শাপলা চেয়ে ইসিতে আবেদন নাগরিক ঐক্যের Jul 02, 2025
img
২৪ ঘন্টায় করোনায় আরও ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ২৭ Jul 02, 2025
img
শেখ রেহানার স্বামী ও দেবরের ১৫ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ Jul 02, 2025
img
সব কিছুতে ঐকমত্য হয়ে যাওয়াটা বাস্তবসম্মত সম্ভব নয়: জোনায়েদ সাকি Jul 02, 2025
img
নতুন মাইলফলক স্পর্শ করলেন শান্ত Jul 02, 2025
img
মিয়ানমারকে হারিয়ে এশিয়ান কাপের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ Jul 02, 2025
img
চট্টগ্রামে ডিআইজি কার্যালয় ঘেরাও করল বৈষম্যবিরোধীরা Jul 02, 2025
img
ঋতুপর্ণার জোড়া গোল, জয়ের আরও কাছে বাংলাদেশ Jul 02, 2025
img
‘হাতপাখার সমাবেশ’ বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রমাণ : ফারুক Jul 02, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় নৌবাহিনীর সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনা Jul 02, 2025
img
প্রাক্তনকে ভুলে এবার বীরের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু তারা সুতারিয়ার Jul 02, 2025
img
শেফালির মৃত্যুর পরও ৭৭ বছর বয়সেও ফিলারে ভরসা মুমতাজের Jul 02, 2025
img
নতুন মামলায় গ্রেফতার আনিসুল-সালমান-দীপু মনি Jul 02, 2025
img
ইভিএম ক্রয়ে অনিয়ম: ইসির সাবেক তিন কর্মকর্তাকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ Jul 02, 2025
img
আমি ফাতিমার বাবা নই, না বয়ফ্রেন্ড : আমির খান Jul 02, 2025
img
কুশল মেন্ডিসকে ফেরালেন অভিষিক্ত তানভীর Jul 02, 2025