ট্রেন্ডের স্রোতে গা না ভাসিয়ে নিজের জন্য একেবারে নতুন পথ তৈরি করছেন সাম্যুক্থা মেনন। যেখানে অন্যরা আরও গ্ল্যামার, অ্যাকশন কিংবা রোমান্সে ডুবে, সেখানে সাম্যুক্থা একের পর এক দেশাত্মবোধক ও ভক্তিমূলক চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে নিজের অনস্ক্রিন ইমেজ বদলে ফেলছেন। এই নতুন রূপে তাঁকে দেখে অভিভূত অনুরাগীরাও।
বর্তমানে সাম্যুক্থার হাতে একাধিক ছবি, যার প্রতিটিতেই ভারতীয় সংস্কৃতি, আত্মিকতা ও জাতীয়তাবোধের ছাপ স্পষ্ট। ‘স্বয়ম্ভু’ ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে এক সাহসী যুদ্ধিনীর চরিত্রে। নিখিল সিদ্ধার্থের সঙ্গে এই প্যান-ইন্ডিয়া ছবির প্রেক্ষাপট গাঁথা ভারতের ঐতিহাসিক উত্তরাধিকারে।
‘হৈন্ধব’ ছবিতে বেল্লমকোন্ডা শ্রীনিবাসের বিপরীতে সাম্যুক্থার চরিত্রটি এক গভীর আত্মিক শক্তির প্রতীক। ভক্তিমূলক এই সিনেমায় তাঁর চরিত্রে থাকবে আধ্যাত্মিক আবেগ, যা এখনকার মূলধারার ছবিতে খুব একটা দেখা যায় না।
আরও এক বড় চমক ‘অখণ্ডা ২’। নন্দামুরি বালাকৃষ্ণ অভিনীত ও বয়াপতি শ্রীনুর পরিচালিত এই ভক্তিমূলক-অ্যাকশন ফ্র্যাঞ্চাইজির দ্বিতীয় কিস্তিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক চরিত্রে দেখা যাবে সাম্যুক্থাকে।
তবে শুধু আধ্যাত্মিকতা বা দেশাত্মবোধ নয়, বাণিজ্যিক ধারার সিনেমাতেও নিজেকে ধরে রেখেছেন এই অভিনেত্রী। 'নারী নারী নদুমা মুরারী', 'মহারাজ্ঞী', এবং বিজয় সেতুপতির বিপরীতে ‘পুরি সেতুপতি’-তে কাজ করছেন তিনি।
সম্প্রতি এক ভক্তিমূলক ছবির জন্য লাল শাড়ি পরা সাম্যুক্থার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। সেই ছবিতে তাঁর সৌন্দর্য যেমন মোহময়ী, তেমনি চোখে-মুখে আত্মিক গাম্ভীর্যের ছাপ। এক কথায়, রূপ ও মনের মিলনেই যেন তৈরি হয়েছে এক নতুন 'নায়িকা'র সংজ্ঞা।
একদিকে ভক্তি, জাতীয়তাবোধ ও আত্মিকতা, অন্যদিকে বাণিজ্যিকতার ভারসাম্য—এই দুই মেরুতে দাঁড়িয়েও সাম্যুক্থা মেনন প্রমাণ করছেন, তিনি এখন শুধু এক অভিনেত্রী নন, বরং ভারতীয় সাংস্কৃতিক সিনেমার নতুন নির্ভরযোগ্য মুখ।
এসএন