আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কমিটি করার অভিযোগে ঝালকাঠিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের তোপের মুখে পড়েছেন এনসিপির নেতারা।
আজ রবিবার জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে ঝালকাঠিতে পদযাত্রা ও সমাবেশ করার কথা ছিল এনসিপি নেতাদের। কিন্তু বৈষম্যবিরোধীদের বিক্ষোভের মুখে কর্মসূচি সংক্ষিপ্ত করে এনসিপি নেতারা ঝালকাঠি ত্যাগ করেন।
এদিন বিকেলে ঝালকাঠি শহরের ফায়ার সার্ভিস মোড়ে সমাবেশের কথা ছিল এনসিপির।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজাপুর উপজেলা থেকে আসা এনসিপি নেতারা ঝালকাঠিতে প্রবেশের সময় প্রথম বাধাপ্রাপ্ত হন। তারপরও বাধা পেরিয়ে এনসিপি নেতারা গাড়ি নিয়ে ফায়ার সার্ভিস মোড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় বৈষম্যবিরোধী কর্মী ও শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন এবং তাদের গাড়ি ঘিরে ফেলে স্লোগান দিতে থাকেন।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৈষম্যবিরোধী কর্মীদের বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থী মিরাজ খান রনির মোবাইল নম্বরে ফোন করেন এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ।
তিনি দলের নারী নেত্রীদের বহন করা গাড়ি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন মিরাজকে। এর প্রায় আধঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস মোড় থেকে অবরোধ তুলে নেন বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীরা। পরে শহরের পাশে ইসলামী ব্যাংকের মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঝালকাঠি ত্যাগ করেন।
এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক মাহিনুল ইসলাম মান্না বলেন, শিক্ষার্থীদের বাধার কারণে আমরা স্বাভাবিকভাবে কর্মসূচি করতে পারিনি। আমাদের দুই জায়গায় বাধা দেওয়া হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় নেতারা সংক্ষিপ্ত কর্মসূচি সেরে চলে গেছেন। সমাবেশ শেষে ঝালকাঠি ত্যাগ করার সময় ফের প্রতিরোধের মুখে পড়েন তারা।
এদিকে, সারাদিনের ঘটনা ও বাধা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে রাত সোয়া ৮টার দিকে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী। সেখানে তারা এনসিপি নেতা নাহিদ ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন।
এ ছাড়া জেলা কমিটিতে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করা হয়েছে বলেও আবার অভিযোগ করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা কমিটির সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, যুগ্ম আহ্বায়ক মাইশা মেহজাবীন ও সহমুখপাত্র অনামিকা দত্ত বৃষ্টি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে জেলা এনসিপি নেতা মাইনুল ইসলাম মান্না বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমি কমিটি গঠনের আগে-পরে আন্দোলনে যুক্তদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছি। এ ছাড়া সারাদেশে কোনো আওয়ামী লীগ নেই। তাহলে আমাদের কমিটিতে আওয়ামী লীগ থাকে কীভাবে?
আরআর