যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগ বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে অনুমতি দিয়েছে আদালত। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট এক বিভক্ত রায়ে এই বিভাগ বন্ধ করার প্রক্রিয়া আবারও শুরু করার অনুমতি দেয়।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, রিপাবলিকান-সমর্থিত বিচারপতিরা মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ এবং স্থানীয় সময় সোমবার একটি সংক্ষিপ্ত, স্বাক্ষরবিহীন আদেশে শিক্ষা বিভাগ বন্ধের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। এর আগে এক ফেডারেল জেলা বিচারক এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন।
ওই বিচারক শিক্ষা বিভাগে গণহারে ছাঁটাই বন্ধের নির্দেশও দিয়েছিলেন। তবে ৯ সদস্যবিশিষ্ট আদালতের তিনজন উদারপন্থি বিচারপতি এই আদেশের বিরোধিতা করেছেন।
এর আগে হোয়াইট হাউসে দ্বিতীয় মেয়াদে ফেরার পর ট্রাম্প আবার ঘোষণা দেন, “আমরা শিক্ষা ফিরিয়ে দিচ্ছি অঙ্গরাজ্যগুলোর হাতে, যেখানে সেটি থাকা উচিত।”
তিনি মার্চ মাসে প্রায় অর্ধেক কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা নেন এবং একই সময় তিনি একটি নির্বাহী আদেশে শিক্ষা বিভাগকে আইনি সীমার মধ্যে যতটা সম্ভব বন্ধ করার নির্দেশ দেন। শিক্ষা বিভাগটি ১৯৭৯ সালে মার্কিন কংগ্রেসের আইন অনুযায়ী গঠিত হয়েছিল।
ট্রাম্পের এই উদ্যোগের বিরুদ্ধে ২০টি অঙ্গরাজ্য ও শিক্ষক ইউনিয়নগুলো একযোগে আদালতে যান। তাদের অভিযোগ, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া একটি সংবিধানিক সংস্থা বন্ধ করা সংবিধানের ক্ষমতার ভারসাম্য নীতির লঙ্ঘন।
পরে জজ মিয়ং গত জুন মে মাসে নির্দেশ দেন যে, ছাঁটাই করা শত শত কর্মীকে পুনরায় কাজে ফেরাতে হবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সে আদেশ বাতিল করে দেয় এবং ট্রাম্প প্রশাসনকে পুনরায় সেই ছাঁটাই প্রক্রিয়া শুরু করার ছাড়পত্র দেয়।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষায় মাত্র ১৩ শতাংশ তহবিল আসে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে, বাকি অর্থ আসে অঙ্গরাজ্য ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ থেকে। তবে এই কেন্দ্রীয় তহবিল অনেক দরিদ্র অঞ্চল, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ও ছাত্র অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ট্রাম্প ক্ষমতায় ফিরে এসে প্রশাসনকে সরকারি খরচ কমানোর নির্দেশ দেন। তার নেতৃত্বাধীন “ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি” বা ডিওজিই ব্যাপকভাবে কর্মী ছাঁটাই ও সরকারি সংস্থা ছোট করার পরিকল্পনা হাতে নেয়।
এফপি/টিকে