আনুরাগ বসুর ‘মেট্রো ইন দিনো’ প্রমাণ করে দিল, সিনেমা যদি হৃদয় ছুঁয়ে যেতে পারে, তবে প্রচারণার ঝাঁঝ নয়, দর্শকের মুখে মুখেই সাফল্য আসে। মুক্তির একাদশ দিনে দাঁড়িয়ে ছবিটির ঘরোয়া আয় ছুঁয়েছে ৪০ কোটি রুপি, আর বিশ্বব্যাপী আয় ছাড়িয়েছে ৫০ কোটির গণ্ডি। একটি মাঝারি বাজেটের, কনটেন্টনির্ভর ছবির জন্য এই অঙ্ক নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি।
২০০৭ সালের ‘লাইফ ইন এ মেট্রো’-র আধ্যাত্মিক উত্তরসূরি বলা হচ্ছে এই ছবিকে। আধুনিক নাগরিক জীবনের নিঃসঙ্গতা, সম্পর্কের টানাপোড়েন ও মানুষের মধ্যকার অদৃশ্য সংযোগকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে গল্প। ছবির কাস্টও সেই অনুযায়ী বাছাই করা-সারা আলি খান, আদিত্য রায় কাপুর, কঙ্কনা সেন শর্মা, পঙ্কজ ত্রিপাঠী, অনুপম খের, ফতিমা সানা শেখ, নীনা গুপ্তা এবং আলি ফজল-সবাই মিলে এক টানটান আবেগময় পর্দা-উপস্থিতি তৈরি করেছেন।
ছবিটি প্রথম সপ্তাহে খুব বড় খোলসা না করলেও, দ্বিতীয় সপ্তাহে দর্শক ধরে রাখতে পেরেছে ভালোভাবেই। বিশেষ করে মেট্রো শহর ও মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে ছবির পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য। চড়া ভিজ্যুয়ালের বদলে জীবনের সরল অথচ গভীর গল্পই যে অনেক সময় বেশি প্রভাব ফেলে, তা প্রমাণ করছে ‘মেট্রো ইন দিনো’।
আনুরাগ বসুর নিজস্ব কাহিনীকাঠামো ও আবেগতাড়িত চিত্রভাষা আবারও প্রশংসিত হয়েছে দর্শক ও সমালোচকের কাছে। ছবির স্লাইস-অফ-লাইফ ঘরানার আবেদন এবারও কাজ করেছে।
এ মাসের শেষের দিকে ‘ধড়ক ২’ এবং ‘দ্য ফ্যান্টাস্টিক ফোর’-এর মতো বড় প্রজেক্ট মুক্তি পাওয়ার আগ পর্যন্ত বলিউড বক্স অফিসে বড় কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। ফলে সহজেই এই ছবির ঘরোয়া আয় ৪৫-৪৮ কোটি ছাড়াতে পারে। আর সামগ্রিক বিশ্বব্যাপী আয় গিয়ে ঠেকতে পারে ৬০-৬৫ কোটির কাছাকাছি।
একটি নিরীক্ষাধর্মী, চরিত্রনির্ভর ছবির পক্ষে এই সংখ্যাগুলো শুধু আর্থিক সাফল্য নয়, বরং বলিউডের কনটেন্ট সিনেমার ভবিষ্যৎকেও আশার আলো দেখায়।
টিকে/