দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে কয়েক দিন ধরে ব্যাপক আলোচনার পরেও ঐকমত্যে আসতে পারেনি রাজনৈতিক দলগুলো। তাই এসব বিষয় নিয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তের আগেই মন্তব্য করতে চায় না বিএনপি। কমিশন কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে প্রতিক্রিয়া জানাবে দলটি—এমনটি জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার ১৪তম দিনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সময় এসব কথা বলেন তিনি।
এদিকে কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ বললেন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট নিয়ে ঐক্যমত্যে এলেও উচ্চকক্ষ গঠন নিয়ে ঐকমত্যে আসেনি রাজনৈতিক দলগুলো। ভোটের অনুপাত ও সংসদ সদস্যদের সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি নিয়ে ঐকমত্য হয়নি।
তবে ঐকমত্য কমিশন মনে করে, মৌলিক সংস্কার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে আসতে হবে। আর দলগুলোকে নিজেদের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যেহেতু নিম্নকক্ষে নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে কারো দ্বিমত নেই। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে বিভিন্ন রকমের মতামত থাকার কারণে সাড়ে তিন দিন আলোচনা হয়েছে। দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের ব্যাপারে মোটামুটি অধিকাংশ রাজনৈতিক দল একমত। কিন্তু তার গঠন প্রক্রিয়া কী রকম হবে এবং পাওয়ার ফাংশন কিভাবে হবে সেটি নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক আছে।
বিএনপির অবস্থান নিয়ে সিনিয়র এই নেতা বলেন, ‘আমাদের দলের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব দিয়েছিলাম আমরা সেই জায়গাতেই আছি। আমাদের ৩১ দফার ভিত্তিতে আমরা যে আইডিয়া নিয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের বিষয়ে বলেছিলাম। সেটি হলো, যারা দেশের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিশিষ্টজন, যাদের জাতিগঠনে অবদান আছে এবং যারা পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, তাদের মেধা, প্রজ্ঞা এবং অভিজ্ঞতার অবদান যেন জাতিগঠনের কার্যক্রমে প্রতিফলিত হয়। জাতি যাতে সমৃদ্ধ হয় সেই আইডিয়া থেকেই আমরা এই প্রস্তাবটি রেখেছিলাম। সেখানে আমরা উচ্চকক্ষে ১০০টি আসন রাখার জন্য বলেছিলাম।
তিনি আরো বলেন, ‘সব বিষয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে ঐকমত্য কমিশন একটা সিদ্ধান্তে আসার কথা। সেই সিদ্ধান্ত জানানোর পরই আমাদের প্রতিক্রিয়া বা সম্মতি-অসম্মতির বিষয়ে জানাতে পারবা। সে জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। সংবিধানের সংশোধন কীভাবে হবে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি একটি অতিরিক্ত প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেটি মোটামুটি সবাই গ্রহণ করেছে। গণভোট নিয়ে বেশ কিছু মতামত আছে। সেগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
ইউটি/টিএ