ব্যাংকিং জগৎ থেকে এসে শোবিজে নাম লেখান, এরপর অভিনয় দিয়ে জয় করে নেন দর্শক মন। ‘দেবদাস’, ‘মহানায়ক’ সিনেমাতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করে তুমুল প্রশংসা কুড়ান বুলবুল আহমেদ। এর পর থেকে তাকে মহানায়ক হিসেবেই ডাকা। আজ ১৫ জুলাই তার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।
বুলবুল আহমেদ অভিনীত ‘দেবদাস’ সিনেমাটি বলিউডের দিলীপ কুমার, শাহরুখ খান দেখেছিলেন। কারণ, তারা দুজনেই দুটি আলাদা সময়ে বলিউডের ‘দেবদাস’ হয়েছিলেন। সিনেমাটি করার আগে তারা দেবদাস নিয়ে নির্মিত সব সিনেমাই দেখেছিলেন বলে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বলেছিলেন।
বুলবুল আহমেদের কন্যা ঐন্দ্রিলা আহমেদ এক সাক্ষাৎকারে নিজের বাবা সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে বলেন, “‘দেবদাস’ সিনেমা করার পর খুব প্রশংসা পেয়েছিলেন বাবা।
তার অভিনীত এ সিনেমাটি সত্যি অনেক সুন্দর, অনেক পছন্দের। শুনেছি, শাহরুখ খান ‘দেবদাস’ করার আগে সবগুলো ‘দেবদাস’ সিনেমা দেখেছিলেন। তিনি বাবার করা ‘দেবদাস’ও দেখেছিলেন এবং প্রশংসা করেছিলেন। দিলীপ কুমারও বাবার করা ‘দেবদাস’ দেখেছিলেন এবং প্রশংসা করেছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নায়ক বুলবুল আহমেদের মেয়ে, এটা আমার জন্য বড় পাওয়া। বাবার জন্য সব সময়ই গর্ববোধ কাজ করে।’
‘পূর্বাভাস’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয় শুরু করেন বুলবুল আহমেদ। ‘ইডিয়েট’ নাটকটির জন্য তিনি এখনো দর্শক হৃদয়ে অন্য রকম স্থান দখল করে আছেন। ১৯৭৩ সালে ‘ইয়ে করে বিয়ে’ ছবির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে তার অভিষেক হয়।টেলিভিশন নাটক ‘এপিঠ-ওপিঠ’-এর চলচ্চিত্ররূপ ছিল এই ‘ইয়ে করে বিয়ে’।
দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘অঙ্গীকার’-এ নায়ক হিসেবে অভিনয়ের পাশাপাশি কার্যনির্বাহী প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেন তিনি। এই চলচ্চিত্রেই কবরীর সঙ্গে জুটি বেঁধে জনপ্রিয়তা লাভ করেন। এই জুটি পরবর্তীতে আরো অনেক কাজ করে প্রশংসিত হয়। এরপর ‘দেবদাস’, ‘সূর্য কন্যা’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘রূপালী সৈকতে’, ‘মোহনা’, ‘মহানায়ক’সহ বহু ছবির প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন।
কর্মজীবনের স্বীকৃতিস্বরূপ বুলবুল আহমেদ চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।২০১০ সালের এই দিনে তিনি পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান।
কেএন/এসএন