ভারতের গ্রামীণ তরুণদের স্বপ্ন, বন্ধুত্ব ও উচ্চাকাঙ্ক্ষার সংঘাতকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছে হোমবাউন্ড— নীরজ ঘায়ওয়ান পরিচালিত একটি শক্তিশালী সামাজিক নাট্যচিত্র। ছবিটি ২০২৫ সালের ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব মেলবোর্নে ‘সেরা চলচ্চিত্র’-এর মনোনয়ন অর্জন করেছে। এই তালিকায় রয়েছে কাল্কি ২৮৯৮ এডি, এলটু: এমপুরান, মহারাজ, স্ত্রী ২ সহ আরও একাধিক আলোচিত ছবি।
কান চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত এই ছবিটি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক প্রশংসা কুড়িয়েছে। অভিনয়ে আছেন ঈশান খট্টর, জাহ্নবী কাপুর ও বিশাল জেঠওয়া। বন্ধুত্বের উপর উচ্চাকাঙ্ক্ষার প্রভাব এবং আত্মপরিচয়ের জটিল টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে ছবির গল্প। চরিত্র চন্দনের ভূমিকায় অভিনয় করা বিশাল বলেন, “এই ছবি আমার জীবনের মাইলফলক। নীরজ স্যারের মতো একজন পরিচালক যখন বিশ্বাস করেন, তখন মনে হয় কেবল অভিনয় নয়, আপনি নিজেকে প্রমাণ করছেন।”
ধর্মা প্রোডাকশনসের ব্যানারে নির্মিত এই চলচ্চিত্রে উঠে এসেছে নতুন প্রজন্মের দ্বিধা, দৃষ্টিভঙ্গি ও বাস্তবতা। বিশেষ করে গ্রামীণ পটভূমিতে বেড়ে ওঠা তরুণদের দুঃস্বপ্ন, উচ্চাশা ও সম্পর্কের জটিলতা চলচ্চিত্রটিকে করেছে ব্যতিক্রমী।
একদিকে যেমন রয়েছে চিত্রনাট্যের সংবেদনশীলতা, অন্যদিকে রয়েছে নিখুঁত অভিনয় আর নির্মাণশৈলীর মুন্সিয়ানা। ফলে এটি কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং হয়ে উঠেছে সমাজের একটি আয়না, যা বর্তমান ভারতের গ্রামীণ বাস্তবতাকে সাহসের সঙ্গে তুলে ধরেছে।
এমন এক প্রতিযোগিতাপূর্ণ আসরে সেরা ছবির জন্য হোমবাউন্ড-এর মনোনয়ন প্রমাণ করে, কাহিনি আর নির্মাণশৈল্যের মিশেলে নির্মিত একটি গভীরতাপূর্ণ ছবি কতটা আলোড়ন তুলতে পারে।
এফপি