এখন থেকে যুক্তরাজ্যে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে ১৬ বছরের কিশোর-কিশোরীরা- এমন একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে দেশটির সরকার। ইংল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় নির্বাচনে ভোটদানেরও সর্বনিম্ন বয়সসীমা করা হবে ১৬। এ নিয়ে বিরোধী দলের সমালোচনার মুখে পড়লেও তরুণদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে যুক্তরাজ্য প্রশাসন। খবর, বিবিসির।
বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতোই ব্রিটেনেও ভোট দেয়া বয়স ১৮। দীর্ঘদিন ধরেই পার্লামেন্টারি ডেমোক্রেসির জন্য আইকন হিসেবে পরিচিত দেশটিতে আলোচনা চলছে ভোটারদের বয়স পরিবর্তন নিয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ভোট দেয়ার নুন্যতম বয়স কমিয়ে ১৬ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে ব্রিটেনে।
যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ড ও ওয়েলসে স্থানীয় কাউন্সিল ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে আগে থেকেই ভোট দিতে পারে ১৬ বছর বয়সীরা। তবে ইংল্যান্ড ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের স্থানীয় নির্বাচন, এবং যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট দেয়ার সর্বনিম্ন বয়স ১৮ বছর। নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ১৬ ও ১৭ বছর বয়সীরাও এসব নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ পাবে।এ উদ্যোগকে বেশ ইতিবাচকভাবেই দেখছে দেশটির তরুণরা।
দেশটির নির্বাচনী সংস্কারবিষয়ক মন্ত্রী আলী বলেন, ভোটারের বয়স কমিয়ে আনার বিষয়টি সরকার আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়ন করতে চায়। ২০২৯ সালের মধ্যে দেশটির পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক এই ইস্যুতে এক ব্রিটিশ তরুণ বলেন, যুক্তরাজ্যের সমস্যাগুলোর ব্যাপারে তরুণ প্রজন্মকে মত প্রকাশের সুযোগ দেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি ১৬-১৭ বয়সে ভোট দেয়ার সুযোগ পেলে তখন থেকেই দেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে শুরু করতে পারতাম।
আরেকজন বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের জন্য বেশ ভালো সুযোগ এটি। কারণ দিনশেষে আমাদের নির্বাচিত সরকারই স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা এবং চাকরির মত জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করবে।
দেশটিতে ভোটদানের বয়স ১৬-তে নামিয়ে আনা হলে তা হবে দেশটির ভোটারদের বয়স কমানোর ক্ষেত্রে ১৯৬৯ সালের পর সবচেয়ে বড় পরিবর্তন। ওই বছরই প্রথম ভোটারের বয়স ২১ থেকে কমিয়ে ১৮ করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, এ পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করছে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি। এ বিষয়ে সরকারের অবস্থানকে বিভ্রান্তিকর আখ্যা দিয়েছেন দলটির নেতারা। কনজারভেটিভ দলের ছায়ামন্ত্রী মন্ত্রী পল হোমস সরকারের সিদ্ধান্তকে ‘চরম বিভ্রান্তিকর’ বলে সমালোচনা করেছেন।
কেএন/এসএন