আ.লীগকে ফিরতে দেব না, সোহেল তাজের নামেও নয়: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে চাই-এই সরকার গঠনের পেছনে যে ১৪০০ শহীদের রক্ত রয়েছে, তার সাথে কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করলে দেশবাসী কাউকেই ক্ষমা করবে না।”

তিনি বলেন, "বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার শাসন এবং দিল্লির আধিপত্য আর ফিরিয়ে আনবে না। আওয়ামী লীগকে আর কোনো নাম বা রূপে পুনর্বাসনের সুযোগ নেই, সোহেল তাজের নামেও নয়। এদেশে কায়েমি স্বার্থের রাজনীতি, গোপন চুক্তি, অথবা সামরিক ও বেসামরিক হামলার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে আবারো প্রতিষ্ঠা করার ষড়যন্ত্র চললে, তা প্রতিহত করা হবে।"

১৪০০ শহীদের স্মরণে কাফন মিছিল থেকে দেওয়া বক্তব্যে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন,
“গত বছরের জুলাই-আগস্টে যে গণঅভ্যুত্থানে ১৪০০ শিক্ষার্থী শহীদ হয়েছেন, সেই আত্মত্যাগের প্রতি আমাদের আজকের অঙ্গীকার-বাংলাদেশ আর তার পুরনো জায়গায় ফিরে যাবে না। কোনোভাবেই দিল্লির আধিপত্য বা আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন আমরা হতে দেব না।”

তিনি আরও বলেন,

“যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ছায়ায় থেকে পেছনের দরজা দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের স্বপ্ন দেখছেন, তাদেরকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই—আপনারাও যদি লেনদুল দর্জি, মীর জাফর হয়ে যান, তাহলে আপনাদের জন্যও ক্ষমা নেই।"
ব্যারিস্টার ফুয়াদ অভিযোগ করে বলেন,

“গত ১৬ বছর ধরে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে দিল্লির হাতে তুলে দিয়েছে। ১৭৫৭ সালের পলাশীর ইতিহাসের মতোই আজ আবার স্বাধীনতা বিক্রির ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সেটি আর হতে দেব না।”

তিনি আরও বলেন,

“এই কাফন মিছিল ১৪০০ শহীদের স্মরণে, যারা বুক চিতিয়ে বুলেটের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। যদি প্রয়োজন পড়ে, আবারো সেই প্রজন্ম ফিরে আসবে, এবং লাখো বুক চিতিয়ে দাঁড়াবে। স্নাইপারের বুলেট শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু বাংলাদেশের মাটি দালালদের হাতে তুলে দেওয়া হবে না।”

শেষে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন,

“১৪০০ শহীদের রক্তের বদলা হিসেবে আমাদের অঙ্গীকার-বাংলাদেশে আর কখনো দিল্লির আধিপত্য থাকবে না, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ আর কখনো ফিরবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকেও এই রক্তের সঙ্গে গাদ্দারি করলে জবাবদিহি করতে হবে। কেউ রেহাই পাবে না।”

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
জনপ্রিয়তার লড়াইয়ে শাহরুখকেও হারালেন আল্লু অর্জুন Jul 18, 2025
img
জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় বন্ধ করতে হবে : ফয়জুল করীম Jul 18, 2025
img
সাইয়ারার নায়ক বেছে নেওয়া হয়েছিল এক ‘দুঃসাহসিক মুহূর্তে Jul 18, 2025
img
আমার সরল বিবেচনা হলো-ড. ইউনূস সরকার ফেইল করেছে : মাসুদ কামাল Jul 18, 2025
img
শুটিং কোচের পদ থেকে রত্নার পদত্যাগ Jul 18, 2025
img
সাইয়ারা মুক্তির দিনে পলকের আবেগঘন প্রতিক্রিয়া Jul 18, 2025
img
নির্বাচন ঠেকাতে চলছে সুপরিকল্পিত চক্রান্ত : জিল্লুর রহমান Jul 18, 2025
img
বাংলাদেশের মাটি আ. লীগ-বিএনপির শাসন দেখতে চায় না : চরমোনাই পীর Jul 18, 2025
img
জন্মদিনে পরিবেশপ্রেমী অভিনেত্রী ভূমিকে সম্মান Jul 18, 2025
img
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের বাঁৎসরিক আয় প্রায় ১০ হাজার কোটি Jul 18, 2025
img
রজনীকান্ত ফিরছেন ‘কুলি’ নিয়ে Jul 18, 2025
img
সংস্কারের নামে লুটেরা-মাফিয়াদের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে: ফরহাদ মজহার Jul 18, 2025
img
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বেকারত্ব ছাড়া কিছু দিচ্ছে না : সচিব Jul 18, 2025
img
টালবাহানা বাদ দিয়ে দ্রুত ভোটের আয়োজন করুন : রুমিন ফারহানা Jul 18, 2025
img
মসজিদ যত বেশি হবে, তত বেশি মুসল্লি হবে : ধর্ম উপদেষ্টা Jul 18, 2025
img
দশেরায় মুক্তি পাচ্ছে কঙ্গনার ‘সার্কেল’ Jul 18, 2025
img
মিডল অর্ডারে ব্যাটিং নিয়ে অভিজ্ঞতা ভাগ করলেন নাঈম Jul 18, 2025
img
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টানা দ্বিতীয় জয় Jul 18, 2025
img
গোপালগঞ্জ কি ভারতের কোনো অঙ্গরাজ্য, প্রশ্ন রিজভীর Jul 18, 2025
img
সমাবেশস্থলের সব প্রস্তুতি শেষ, ‘ইতিহাস রচনার’ প্রত্যয় ঘোষণা করেছে জামায়াত Jul 18, 2025