রাজনীতিবিদদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, ঐক্য বিনষ্ট করবেন না, ঐক্য বিনষ্ট হলে কি হয় সেটি সত্যিকার অর্থে কিছু আলামত পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, কথায় কথায় পিআর বলবেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন বলবেন, কিন্তু গণতন্ত্রের লড়াই জাতীয় নির্বাচনের জন্য।
স্থানীয় নির্বাচনের জন্য গণতন্ত্রের লড়াই হয় না উল্লেখ করে তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি বাংলাদেশের ৫৪ বছর কেন, ১৫৪ বছরেও প্র্যাকটিস হয়নি।
ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে লড়াই সেই লড়াইয়ে রাজনীতিবিদ ছিলেন, পেশাজীবীরাও ছিলেন। আমরা যখন দেখতে পাই, রাজনীতিবিদদের মধ্যে শুধুমাত্র ছোট ছোট স্বার্থের জন্য অনৈক্য দেখা দেয় তখন হতাশাগ্রস্ত হই এবং সাবধান করে দিই। আমরা রাজনীতিবিদদেরকে বলি আপনারা ঐক্য বিনষ্ট করবেন না। ঐক্য বিনষ্ট হলে কি হয় সেটি সত্যিকার অর্থে কিছু আলামত পাওয়া যাচ্ছে।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী মেজেস্ট্রেসি পাওয়ার নিয়ে মাঠে রয়েছে। তারপরও মবক্রেসি হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কঠোর হাতে দমন করা হবে। কিন্তু, কিছুই করা হচ্ছে না।
গোপালগঞ্জের ঘটনাকে উল্লেখ করে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকার নিদারুণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার তো ফরিদপুরে সুন্দর প্রোগ্রাম হলো কিন্তু, সেখানে তো কিছু হলো না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছেন, সেখানে কিছু হলো না। শুধু গোপালগঞ্জে কেন হচ্ছে। স্বৈরাচারের দোসরদের ওপর দোষ চাপাচ্ছি ঠিকই, কিন্তু আমাদের ভেতরে যারা আজকে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে চায়, সেই ষড়যন্ত্রকারীরাও ঘাপটি মেরে আছে। তাদের চরিত্র উন্মোচন করা আমাদের দায়িত্ব।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব ও পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকার সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খানসহ প্রমুখ।
এমকে/টিএ