আগামী ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালে গিয়ে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ, যেটি হবে অক্টোবরে হংকংয়ের বিপক্ষে দুটি এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচের প্রস্তুতি। তবে নেপালে প্রীতি ম্যাচ বা প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলে প্রীত হয়ে ফেরার খুব বেশি অভিজ্ঞতা নেই বাংলাদেশের। সাড়ে চার হাজার ফুট উচ্চতার কাঠমাণ্ডুতে বাংলাদেশের সর্বশেষ জয় ২০১৩ সালে, লোডউইক ডি ক্রুইফের অধীনে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে।
নেপালের উচ্চতা প্রস্তুত করবে ফুটবলারদের!তবে ওই বছরই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশকে ২-০ গোলের সেই হার ফিরিয়ে দেয় নেপাল।
এরপর দশরথে আরো তিনবার দেখা হয়েছে দুই দলের, যার একটিতে ড্র আর দুই হার। সর্বশেষ হাভিয়ের কাবরেরার অধীনেই ২০২২ সালে খেলা প্রীতি ম্যাচে অঞ্জন বিষ্টার হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে তারা। অর্থাত্ কাঠমাণ্ডুতে সর্বশেষ ৫ ম্যাচে ১ জয়, ১ ড্র ও ৩ হার বাংলাদেশের। মাঝখানে দক্ষিণ এশীয় গেমসের ম্যাচ ধরলে হার যোগ হবে আরো একটি।
সেটি অলিম্পিক দলের খেলা হলেও সিনিয়র কোটায় জামাল ভূইয়া, ইয়াসিন খান, নাবিব নেওয়াজ ছিলেন; কোচ ছিলেন জেমি ডে। দশরথে এমনই বেহাল ছিল বাংলাদেশের। সেই আসরে হারতে হয়েছিল ভুটানের কাছেও। নেপালের বিপক্ষে মেজাজ হারিয়ে লাল কার্ড দেখেছিলেন জামাল।
সেই আসরসহ লম্বা সময় জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে কাজ করা মাসুদ কায়সারও স্বীকার করেন নেপালে তাঁদের বিপক্ষে সব সময় কঠিন পরীক্ষা বাংলাদেশের, ‘উচ্চতার একটা ব্যাপার তো আছেই। ফুটবলারদের দমের সমস্যা হয়। তাতে করে সমান তালে পারফরম করা যায় না। আর দশরথে স্বাগতিক দল সব সময় ভীষণ উজ্জীবিত থাকে। ওদের সমর্থকরাও প্রতিপক্ষের নার্ভের কঠিন পরীক্ষা নেয়।’
সে হিসেবে এই কাঠিন্যে হংকং ম্যাচের প্রস্তুতি কতটা যথাযথ হবে সেই প্রশ্ন থাকে। কায়সার অবশ্য তাতে ইতিবাচকতা দেখেন, ‘হংকংয়ের বিপক্ষে আমাদের শুধু ঘরের মাঠেই খেলা নয়, পরপরই কিন্তু ওদের মাঠে গিয়ে আমাদের খেলতে হবে। তো নেপালের ওই উচ্চতার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা যদি শারীরিক, মানসিকভাবে আরো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারি, সেটা বরং প্রাপ্তি হবে।’
সিনিয়র ফুটবলার সোহেল রানা যদিও নেপালে খেলাটাকে বাড়তি চাপ হিসেবে না নিয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ হিসেবেই শুধু দেখতে চান, ‘হংকং ম্যাচের আগে আমরা শুধু নিজেদের ঝালিয়ে নিতে চাই। হংকংয়ের বিপক্ষে কিভাবে খেলব, সেটিও বাজিয়ে দেখা হবে। এর বাইরে গিয়ে বাড়তি চাপ নেওয়ার বোধ হয় প্রয়োজন নেই।’
এফপি/টিএ