প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিবাসন এবং পরিবহন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চুক্তি হয়েছে জামার্নি ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে। ব্রিটেন সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী চুক্তিতে সই করেন।
দুই দেশ যৌথভাবে ড্রোন, এআই প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র তৈরি এবং তাদের উৎপাদিত টাইফুন যুদ্ধবিমান ও এর যন্ত্রাংশের রফতানি বাড়ানোর চুক্তি করেছে। ঐতিহাসিক চুক্তিকে সহযোগিতার নতুন অধ্যায় বলে আখ্যায়িত করেছেন দুই দেশের সরকারপ্রধান।
যুক্তরাজ্য ও জার্মানির মধ্যে সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ। উভয় দেশই ন্যাটো, জাতিসংঘ, জি৭ এবং জি২০ এর মতো জোট ও সংস্থায় একসাথে কাজ করে। এবার প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিবাসন এবং পরিবহনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দুই দেশ ঐতিহাসিক চুক্তি করেছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ ম্যার্ৎসের প্রথম যুক্তরাজ্য সফরে দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নতুন করে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করেছে।
লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ও জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস। তাদের সঙ্গে ছিলেন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও।
চুক্তিতে প্রতিরক্ষা, বাণিজ্য, জ্বালানি, অভিবাসন এবং পরিবহনসহ নানা খাতে যৌথ উদ্যোগের কথা বলা হয়েছে। দুই দেশ যৌথভাবে ড্রোন, এআই প্রযুক্তিনির্ভর অস্ত্র তৈরি এবং তাদের উৎপাদিত টাইফুন যুদ্ধবিমান ও এর যন্ত্রাংশের রফতানি বাড়ানোর চুক্তি করেছে। পাশাপাশি যোগাযোগ ও পরিবহন দ্রুত করতে যুক্তরাজ্য ও জার্মানি একটি নতুন রেলপথ স্থাপনের ঘোষণাও দিয়েছে।
চুক্তির গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হলো 'পারস্পরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি'। ইউক্রেনে রুশ হামলা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রতিশ্রুতি অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব পাচ্ছে।
ম্যার্ৎস বলেন, এটি শুধু প্রতিরক্ষা খাতে নয়, বরং শিক্ষা, অর্থনীতি এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দুই দেশের কাছাকাছি আনবে। স্টারমার একে ঐতিহাসিক মুহূর্ত আখ্যা দিয়ে বলেন, এই চুক্তি দুই দেশের যৌথ আকাঙ্ক্ষার প্রতিচ্ছবি।
অবৈধ অভিবাসী প্রবেশ ঠেকাতেও সহযোহিতার ভিত্তিতে কাজ করতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বলছে, জার্মানি একটি নতুন আইন আনবে, যাতে ব্রিটেনে নৌকা পাঠানো চক্রগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
এফপি/টিএ