শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় : ড. সলিমুল্লাহ খান

বিশিষ্ট দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, ব্রিটিশ শাসনের ১০০ বছর পার হয়ে গেলেও আমাদের দেশের শিক্ষার হার ৮০ শতাংশের বেশি হয়নি। এর দায় আমাদেরই নিতে হবে৷ দেশের জিডিপির ২ ভাগও শিক্ষা খাতের পেছনে খরচ হয় না। কিন্তু অন্যান্য খাতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে ৷ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানোটা জরুরি। শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার ছাড়া কখনোই বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) পাঠক ফোরাম কতৃক আয়োজিত ''নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ : কোন পথে' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সেমিনারে ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন নাহলে উচ্চ শিক্ষার মান উন্নয়ন হবে না। শিক্ষাকে আনন্দায়ক করে তুলতে হবে। কিন্তু আমাদের দেশে তা সম্ভব হচ্ছে না, কারণ আমাদের দেশে যোগ্য শিক্ষক নেই। বর্তমান শিক্ষাব্যাবস্থা সত্যবিরোধী, যা শিক্ষার্থীদের চিন্তা করতে শিখাচ্ছে না। বর্তমান যে মুনাফাভিত্তিক শিক্ষা গড়ে উঠেছে, এটা দিয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়। সংসদকে দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট করার জন্য আমাদের ছেলেরা জীবন দেয় নাই৷ দেশের সার্বিক পরিস্থিতি সংস্কারের জন্য এই দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল।

সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, নতুন বাংলাদেশ বিনির্মানের যে পথ আমরা ইতোমধ্যে হারিয়েছি এর প্রধান কারণ সুশিক্ষার অভাব। আমরা কি জানি? কি বুঝি? এসব জানার জন্য শিক্ষা অপরিহার্য। আমরা ইতিহাস এবং সমাজকে বিশ্লেষণ করতে পারি না। গত ১৫ বছর যেমন স্বৈরাশাসনের অধিনে ছিলাম এটা যেমন সত্য ঠিক একইভাবে গত ৫৩ বছরে সুশাসন নিশ্চিত করতে পারিনি এটাও সত্য। সুষ্ঠ রাজনীতি করতে হলে আমাদের গোষ্ঠীগত চিন্তা থেকে বের হতে হবে।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পাঠক ফোরামের তিন যুগপূর্তি উপলক্ষ্যে ফোরাম চত্বরে সকাল ৯টায় জাতীয় ও ফোরাম পতাকা উত্তোলন, কবুতর উড়িয়ে এবং কেক কেটে অনুষ্ঠান উদ্বোধন করা হয়। এছাড়াও আলোকচিত্র প্রদর্শনী (স্মৃতির তীর্থস্থান), রক্তদান এবং বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়।


 পিএ/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নেপালকে ৪ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ Sep 18, 2025
img
নির্বাচনী দায়িত্বে অবহেলা ও অপরাধের সাজা বাড়ছে Sep 18, 2025
img

শেষ ওভারে নবির ৫ ছক্কা

শ্রীলংকাকে ১৭০ রানের টার্গেট দিল আফগানিস্তান Sep 18, 2025
img
আওয়ামী লীগের মিছিলে নেতৃত্ব দেয়া তেজগাঁও কলেজের শিক্ষক গ্রেপ্তার Sep 18, 2025
img
সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৭৭ কোটি মার্কিন ডলার Sep 18, 2025
img
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ দিনে ভারতে ৫৬ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি Sep 18, 2025
img
যারা পিআর নিয়ে কথা বলে তারা নির্বাচনের বিরোধিতা করে : টুকু Sep 18, 2025
img
অনেকেই চান দুর্নীতি থাকুক, কারণ তারা এ থেকে সুবিধা পান: ফাওজুল কবির Sep 18, 2025
img
বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি ফেডারেশনকে পেশাদারির সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাবে : ডা. জাহিদ Sep 18, 2025
img
ফ্রান্সে বিক্ষোভ বেড়েই চলছে Sep 18, 2025
img
কয়েকটি রাজনৈতিক দল চায় দেশে যাতে নির্বাচন না হয়: মেজর হাফিজ Sep 18, 2025
img
ভারতীয় ব্যবসায়ীদের ভিসা বাতিল করল যুক্তরাষ্ট্র Sep 18, 2025
img
প্রেমিকের সঙ্গে মা উধাও, ছেলের আয়োজনে বাবার নতুন বিয়ে! Sep 18, 2025
img
উপদেষ্টা পরিষদে আইন পাস : ইসি কর্মকর্তারাই হতে পারবেন সচিব Sep 18, 2025
img
ট্রাম্প ‘বিশ্বের সম্রাট’ নন: ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট Sep 18, 2025
img
পিআর নিয়ে আন্দোলনের নামে ষড়যন্ত্র হচ্ছে : প্রিন্স Sep 18, 2025
img
নিজের স্ত্রীকে ‘নারী প্রমাণে’ বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেবেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ Sep 18, 2025
img
নারায়ণগঞ্জে বিচ্ছিন্ন করা হলো ৪ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ Sep 18, 2025
img
দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত পৃথক করল সরকার Sep 18, 2025
img
ইসলামী দলগুলোও শেষ পর্যন্ত জামায়াতের সঙ্গে থাকবে না : জাহেদ উর রহমান Sep 18, 2025