নতুন শিক্ষা ব্যবস্থার দাবি করলেন শিবির সভাপতি

স্বাধীনতা, ইসলামি মূল্যবোধ ও জাতিসত্তার ইতিহাস ধারণ করে নতুন একটি আদর্শিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।

শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের মহাসমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাঙ্গণগুলোকে গত ১৫ বছর সন্ত্রাস ও মাদকের অভয়ারণ্য পরিণত করা হয়েছে। এবার নতুন বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ, যুবসমাজ ও এ দেশবাসী নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য যে এতগুলো সংস্কার কমিশন গঠন হয়েছে, কিন্তু শিক্ষা সংস্কারের কমিশন গঠন করা হয়নি। অথচ শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড, শিক্ষার মধ্য দিয়ে একটি জাতি অগ্রসর হয়। কিন্তু ব্রিটিশদের রেখে যাওয়া দাসত্বমূলক শিক্ষা ব্যবস্থা আমাদেরকে দিন দিন গ্লানি টানতে হচ্ছে।

জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে আজ এ সমাবেশ থেকে বলছি, অতিসত্বর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব, ইসলামি মূল্যবোধ, আদর্শিক মূল্যবোধ, জাতিসত্তার ইতিহাস ধারণ করে নতুন একটি আদর্শিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। ছাত্র-জনতার প্রাণের দাবি, শিক্ষাঙ্গণগুলোতে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, এই ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন মহল টালবাহানা চলছে। তাই আমাদের দাবি, অতিসত্বর ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

তিনি বলেন, জুলই যেমন আমাদের জন্য ছিল কষ্ট, নির্মমতা আর নিষ্ঠুরতা, তেমনি জুলাই ছিল প্রতিবাদ, প্রতিরোধ এবং বিজয়ের মাস। কিন্তু আজ শহীদ পরিবারগুলোকে আর্তনাদ করে বলতে হয়, তারা বিচারহীনতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। জুলাই আকাঙ্ক্ষার যে প্রত্যাশা ছিল, এখনও সেই পরিবারগুলো তা পাচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনার স্বাভাবিক কোনো প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় বসেননি। ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর আপনারা ক্ষমতায় বসেছেন। এজন্য আমাদেরকে সংবিধান আর হাইকোর্ট দেখাবেন না। অতিসত্বর জুলাই সনদ ঘোষণা করুন। এই জুলাই মাসের মধ্যেই শহীদ ও গাজীদের স্বীকৃতি দিয়ে জুলাই সনদ ঘোষণা করতে হবে। 

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বক্সার হ্যাটন আর নেই Sep 14, 2025
img
ইউটিউবে বিশেষ উপায়ে রেকর্ড আয় আমির খানের সিনেমার Sep 14, 2025
img
বাংলাদেশে প্রবেশকালে মহেশপুর সীমান্তে আটক ৩ Sep 14, 2025
img
এটা শুধু প্রাপ্তি নয়, সবার ভালোবাসা : অপরাজিতা Sep 14, 2025
img
নির্ধারিত সময়ের আগেই সংবিধান সংশোধন করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে: গোলাম পরওয়ার Sep 14, 2025
img
বাবার শিক্ষা ও স্টপওয়াচের গল্পে অনুপ্রেরণা দিলেন লেডেকি Sep 14, 2025
img
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২৫ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী যোগ দিলেন জামায়াতে Sep 14, 2025
img
কুষ্টিয়ায় পৌঁছেছে ফরিদা পারভীনের মরদেহ Sep 14, 2025
img
ট্রাম্পের ১০০ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকির কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাল চীন Sep 14, 2025
img
ঢাকা-৮ এ ভোটযুদ্ধে নামলেন ইনকিলাব মঞ্চের শরিফ ওসমান হাদি Sep 14, 2025
img
টাকার বদলে পারিশ্রমিক হিসেবে এক গ্লাস দুধ পেয়েছিলেন অভিনেতা গুলশান গ্রোভার! Sep 14, 2025
img
সবাইকে সমীহ করে ট্রফি জয়ের পরিকল্পনা বাংলাদেশের! Sep 14, 2025
img
সাবেক সচিব আবু আলম শহীদ খানসহ ৪ জনের জামিন নামঞ্জুর Sep 14, 2025
img
ব্রাজিলের পর আবারও রিয়ালে ফিরতে চান আনচেলত্তি Sep 14, 2025
img
সিঙ্গেল-ইউজ প্লাস্টিক মুক্ত করতে সচিবালয়ে শুরু হচ্ছে চেকিং কার্যক্রম Sep 14, 2025
img
নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই অনুষ্ঠিত হবে শাকসু নির্বাচন! Sep 14, 2025
img
দোহায় আরব-মুসলিম শীর্ষ সম্মেলনের প্রস্তুতিসভায় যোগ দিলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Sep 14, 2025
img

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী

বিক্ষোভের নামে যা ঘটেছে, মনে হচ্ছে সব পরিকল্পিত Sep 14, 2025
img
রিজার্ভ বেড়ে ৩০.৫৯ বিলিয়ন ডলার Sep 14, 2025
img
পিএসসির নতুন সচিব আব্দুর রহমান Sep 14, 2025