বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাসে বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্ট্যাটাসে তিনি জানান, নতুন দলের কিছু ছাত্রনেতা তার বিরুদ্ধে নাম ধরে কটূক্তি করলেও তিনি শুরু থেকে তা এড়িয়ে গেছেন। কারণ, তিনি চেয়েছেন রাজনীতিতে ভদ্রতা ও শিষ্টাচারের একটি সাংস্কৃতিক মানদণ্ড গড়ে উঠুক।
তিনি লিখেছেন, “আমি চেয়েছিলাম আমার আচরণের মাধ্যমে নবাগত রাজনীতিকরা শিখুক কীভাবে ভিন্নমত থাকা সত্ত্বেও একজনকে সম্মান জানানো যায়।”
কিন্তু বাস্তবতা হয়েছে ভিন্ন। ইশরাক জানান, এসব নেতারা বারবার রাজনৈতিক শালীনতার সীমা লঙ্ঘন করে চলেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েও তিনি রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন। এমনকি যুবলীগের সেক্রেটারি নিখিল, যার অতীত সম্পর্কে তিনি ‘ছিনতাইকারী’ হিসেবে উল্লেখ করেন, সেই ব্যক্তি পর্যন্ত তার মৃত পিতাকে নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন।
সম্প্রতি এনসিপি’র এক যুগ্ম আহ্বায়ক সামাজিক মাধ্যমে তার মৃত বাবাকে নিয়ে আরও জঘন্য ভাষায় আক্রমণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন ইশরাক। তিনি বলেন, “আমি ব্যক্তি হিসেবে তখনও কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেইনি, কারণ আমি বিশ্বাস করি রাজনীতি পারিবারিক অবমাননার জায়গা হতে পারে না।”
তবে সাধারণ মানুষ এসব কটূক্তির প্রতিবাদ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এটি শুধু তার পরিবারের নয়, বরং এটি গোটা সমাজে নৈতিকতার অবক্ষয়ের একটি দৃষ্টান্ত।
সবচেয়ে দুঃখজনক বলে তিনি মনে করেন, এনসিপি’র শীর্ষ নেতারা এখনও এসব বিষয়ে কোনো সংশোধন আনেননি। বরং তাদের বক্তব্য দিন দিন আরও কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্বেষময় হয়ে উঠছে।
ইশরাক হোসেন প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, “এই যদি হয় নতুন রাজনৈতিক চর্চা, তবে প্রশ্ন থেকেই যায় নতুন বন্দোবস্তটা কোথায়?”
পিএ/টিকে