২০১৪ সালটা বাস্তিয়ান শোয়েনস্টেগারের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলোর একটি। দুবার সেমিফাইনালে খেলার পর সেবারই প্রথম জার্মানির হয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি উঁচিয়ে ধরার সুযোগ পান। মারাকানার ফাইনালে আর্জেন্টিনাকে হারায় তার দল। ওই বছর গ্র্যান্ড স্লাম জয়ী টেনিসকন্যা আনা ইভানোভিচের সঙ্গে প্রণয়েও জড়ান তিনি।
সেপ্টেম্বরে প্রণয়ে জড়ানো শোয়েনস্টেইগার প্রায় দুই বছর পর ইভানোভিচকে বিয়েও করেন। ২০১৮ সালে প্রথম, ২০১৯ সালে দ্বিতীয় ও ২০২৩ সালে এই দম্পতির তৃতীয় সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখে। ১১ বছরের সম্পর্কের পর বিচ্ছেদ হলো তাদের। জার্মান গণমাধ্যম বিল্ড ও স্প্যানিশ গণমাধ্যম মার্কার বরাত দিয়ে এই খবর দিয়েছে গোল ডটকম।
শোয়েনস্টেইগার ও ইভানোভিচের বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক টেনিস তারকার আইনজীবী ক্রিস্টিয়ান শের্টজ। শের্টজ বলেছেন, তাদের মধ্যে এমন কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, যা মীমাংসা করা সম্ভব নয়।
গত এপ্রিলে ডেইলি মেইল জানিয়েছিল, শোয়েনস্টেইগার বেশির ভাগ সময় সম্প্রচার সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকছেন। অন্যদিকে ইভানোভিচ তিন সন্তান নিয়ে সার্বিয়ায় থাকেন। সব মিলিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। তাছাড়া সম্প্রতি শোয়েনস্টেইগারকে অন্য এক নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তেও দেখা গেছে। ওই নারীর নাম সিলভা বলে শোনা যাচ্ছে।
ইভানোভিচ ২০০৮ সালে ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন। অন্যদিকে বায়ার্নের মিউনিখের অ্যাকাডেমি থেকে ২০০২ সালে গ্র্যাজুয়েট হয়ে শোয়েনস্টেইগার ওই ক্লাবেই ১৩ বছর খেলেন। ২০১৫ সালে পাড়ি জমান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। দুই বছর পর শিকাগো ফায়ারে নাম লিখিয়ে অবসর নেন ২০১৯ সালে। জার্মানিতে তার ফুটবলার ক্যারিয়ার ২০০৪ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত। ক্লাব ক্যারিয়ারে শোয়েনস্টেইগার একাধিক বুন্দেসলিগা, ডিএফবি পোকাল ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন। ম্যানচেস্টারর ক্লাবটির হয়ে জেতেন এফএ কাপের শিরোপা।
এফপি/টিএ