শুল্ক আরোপ নিয়ে আলোচনা করতে আমন্ত্রণের অপেক্ষায় বাংলাদেশ: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ নিয়ে আলোচনার জন্য চিঠির জবাব ও আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। একইসঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের একটি অনলাইন মিটিং রয়েছে। তার ওপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরর্বতি কর্মকাণ্ড নির্ধারণ করবো।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরের সামনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা গত পরশুদিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রীকে করণীয় সম্পর্কে চিঠি দিয়েছি। এখন আমরা সেই চিঠির জবাবের ও আমন্ত্রণের অপেক্ষায় আছি। জবাব ও আমন্ত্রণ পেলে আমাদের যে টিম আছে আমরা সবাই সেখানে যাবো।

১ আগস্ট তো সামনে এরমধ্যেই জবাব আসতে হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমাদের জন্য যেরকম প্রয়োজন তেমন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য প্রয়োজন। এ বিষয়ে আমাদের কর্মকাণ্ডের কোনো স্থবিরতা নেই। আমাদের কর্মকাণ্ড যথেষ্ট গতিশীলতা নিয়ে আগাচ্ছে। আমরা আমাদের অবস্থানগুলো সঠিকভাবে তুলে ধরেছি। সক্ষমতার ভিত্তিতে আমাদের যা করণীয় সেটা তুলে ধরেছি। এখন আমরা জবাবের অপেক্ষায় আছি জবাবে পেলেই চলে যাবো।

প্রত্যাশা কি জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের প্রত্যাশার কথা আমি আগেও বলেছি। আমরা প্রত্যাশা করছি ভালো কোনো কিছু। ভালো কোনো কিছু করার ক্ষেত্রে যা করণীয় আমরা সেটাই করছি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে উনাদের কাছে ভালো কোনো কিছু আমরা পাবো৷

আপনি কি আশা করছেন আগস্টের আগেই আমন্ত্রণ পেয়ে যাবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আজ কালকের মধ্যে অনলাইনে একটা সিডিউল চাচ্ছি। সুতরাং অনলাইন মিটিং করার পর বুঝা যাবে। মোট কথা আমরা গতিশীলতা নিয়ে আগাচ্ছে বলেই তারা আমাদের অনলাইনে একটা মিটিংয়ের সিডিউল দিয়েছে চিঠির প্রেক্ষিতে। এই অনলাইন মিটিংয়ের উপর ভিত্তি করে আমরা আমাদের পরর্বতি কর্মকাণ্ড নির্ধারণ করবো। অনলাইন মিটিংটা সম্ভবত আগামীকাল হবে।

আগস্টের আগে যদি তারা কোনো জবাব না দিলো পরবর্তিতে কি করবেন জানতে চাইলে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আশা করছি আমরা সিডিউল পাবো।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভূমিকম্প অনুভূত, উৎপত্তিস্থল কোথায়? Dec 26, 2025
img
বিএনপিতে যোগ দিয়ে ধানের শীষে ভোট করবেন রাশেদ খান: নুর Dec 26, 2025
img
জনপ্রিয় ফিলিস্তিনি অভিনেতা মোহাম্মদ বকরী আর নেই Dec 26, 2025
img
মেঘনায় মিলল ২৩ কেজি ওজনের কোরাল Dec 26, 2025
img
রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বড় নেতারা কেন বাস ব্যবহার করেন? Dec 26, 2025
img
জাতীয় স্মৃতিসৌধে তারেক রহমানের শ্রদ্ধা নিবেদন Dec 26, 2025
img
চারে ব্যাটিং প্রসঙ্গে ওপেনার ইমনের মন্তব্য Dec 26, 2025
img
মায়ানমারের সাধারণ নির্বাচন ঘিরে সমালোচনার ঝড় Dec 26, 2025
img
ঘন কুয়াশার কারণে আরিচা-কাজীরহাট নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ Dec 26, 2025
img
৫ লাখ সন্ন্যাসী নিয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস ঘেরাওয়ের হুমকি বিজেপি নেতার Dec 26, 2025
img
বান্দরবানে ভূমিকম্প অনুভূত Dec 26, 2025
img
মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ মশারি ও নৌকার প্রপেলার জব্দ, আটক ৫ Dec 26, 2025
img
সম্রাট বাহিনীর প্রধানের প্রাণহানির ঘটনায় মামলা Dec 26, 2025
img
পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন : ডানপন্থি দল চেগার জোরালো প্রচারণা Dec 26, 2025
img
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পৌঁছেছেন তারেক রহমান Dec 26, 2025
বিদেশে গিয়েও দেশের প্রতি টান কেয়া পায়েলের Dec 26, 2025
দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাজিব Dec 26, 2025
আমাদের জন্য জরুরী একটি বিধান | ইসলামিক জ্ঞা Dec 26, 2025
ইসরায়েলে ভয়াবহ সাইবার হামলা চালাল ইরান Dec 26, 2025
সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ঘিরে বিএনপির দুঃখপ্রকাশ Dec 26, 2025