বাল্যবিয়ে ঠেকাতে জন্মনিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতির সুপারিশ

বাল্যবিয়ে বন্ধে জন্মনিবন্ধনে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালুর সুপারিশ করেছেন বক্তারা। তারা বলেছেন, স্কুলে ভর্তির সময় শিশুদের একটা জন্ম নিবন্ধন থাকে। কিন্তু পরে বয়স বাড়িয়ে আরেকটি জাল জন্ম নিবন্ধন তৈরির মাধ্যমে বাল্যবিয়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়। বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সংযোজন করা হলে এটা বন্ধ করা সম্ভব হবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের প্রধান কার্যালয়ে কর্মজীবী ও পথশিশুদের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও নীতিনির্ধারণী স্টেকহোল্ডারদের সাথে বার্ষিক অ্যাডভোকেসি কর্মশালায় এসব কথা বলেন তারা।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মোহাম্মদ খলিলউল্লাহ। এতে বক্তৃতা করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. আবু তৈয়ব আবু আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার এ এফ এম গোলাম শরফুদ্দিন, নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল, শিক্ষা ও টিভিইটি সেক্টরের যুগ্ম পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান, ডাম শিক্ষা সেক্টরের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

কর্মশালায় ডা. মোহাম্মদ খলিলউল্লাহ বলেন, সামাজিক সমস্যাগুলো কিভাবে মোকাবেলা করা যায় তার জন্য ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন সরকারের সাথে যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

বাল্যবিয়ে রোধে সামাজিক ও পারিবারিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে মা-বাবাদের সচেতনতা খুবই জরুরি।

অধ্যাপক ড. আবু তৈয়ব আবু আহমদ বলেন, বাল্যবিবাহ সম্পর্কিত যে নির্ধারিত বয়সসীমা আইনে আছে, সেই বয়সসীমাকে কমিয়ে পুনর্নির্ধারণ করা যায় কি না, সে ব্যাপারেও চিন্তা-ভাবনা করা যেতে পারে।
মূল বক্তব্যে সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল বলেন, নিকাহনামার ফরমে অনেক ত্রুটি আছে।

এখানে বয়স উল্লেখ করা আছে, জন্ম তারিখ নাই। উপজেলা অথবা ইউনিয়ন পর্যায়ে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ কমিটিতে ইমাম সমিতির একজন প্রতিনিধি থাকার ব্যাপারে তিনি একমত পোষণ করেন।

কর্মশালায় জানানো হয়, বাল্যবিয়ে একটি সামাজিক ব্যাধি। এর ফলে সমাজের পিছিয়ে পড়া নারী, বিশেষ করে দরিদ্র পথশিশুরা ভুক্তভোগী হয়। ২০১১ সাল থেকে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের দুটি ড্রাপ-ইন সেন্টার পথ ও কর্মজীবী শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে দিনব্যাপী খাদ্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে।

এফপি/টিএ  

Share this news on:

সর্বশেষ

img
নেপালে নতুন রাজনৈতিক সংকট, পার্লামেন্ট পুনর্বহালের দাবি প্রধান দলগুলোর Sep 14, 2025
img
বায়ুদূষণের শীর্ষে কায়রো, ঢাকার অবস্থান ৩২তম Sep 14, 2025
img
তরুণদের প্রথম ভোটটি হোক ধানের শীষে : টুকু Sep 14, 2025
img
চাকসু নির্বাচনে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে বাতিল প্রার্থীতা Sep 14, 2025
img
জেনে নিন, দেশে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 14, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস, কমবে তাপমাত্রা Sep 14, 2025
img
বাংলাদেশের ম্যাচ হারার ব্যাখ্যা দিলেন লিটন Sep 14, 2025
img
মার্কিন বাজারে বাড়ছে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি Sep 14, 2025
img
পাবনায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আজ, সড়ক-নৌপথ অবরোধের ঘোষণা Sep 14, 2025
img
রাশিয়ার অন্যতম বৃহৎ তেল শোধানাগারে ড্রোন হামলা ইউক্রেনের Sep 14, 2025
img
ইতিহাসে আজকের দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য সব ঘটনা Sep 14, 2025
img
লন্ডনে অভিবাসনবিরোধী লাখো মানুষের বিক্ষোভ Sep 14, 2025
img
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেপ্তার ৪ Sep 14, 2025
img
ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে জয় হাতছাড়া, ড্র নিয়ে ফিরল চেলসি Sep 14, 2025
img
দুপুরের মধ্যে খুলনা-চট্টগ্রামসহ ৭ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস Sep 14, 2025
img
সাদাপাথর লুটকাণ্ডে পদ হারানো বিএনপি নেতা র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার Sep 14, 2025
img
প্রয়োজনে আগামীকাল নির্বাচন দিন কিন্তু নতুন সংবিধান লাগবে: হাসানাত Sep 14, 2025
img
ভাঙ্গায় আবারও ৩ দিনের মহাসড়ক অবরোধ ঘোষণা Sep 14, 2025
img
জয়ে ফিরল আর্সেনাল Sep 14, 2025
img
এমবাপ্পে-গুলেরের নৈপুণ্যে ১০ জন নিয়েও রিয়ালের জয় Sep 14, 2025