এ সময়ে ছোটপর্দার অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নাম তানজিম সাইয়ারা তটিনী। মিষ্টি হাসি, সাবলিল অভিনয় আর ব্যক্তিত্বের জন্য অল্প সময়ের মধ্যে দর্শকের মনে শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন বরিশালের এই মেয়েটি।
তটিনীকে এখন পর্যন্ত কাজের বাইরে খুব একটা আলোচনায় আসতে দেখা যায়নি। এটা এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে বিরল বলা যায়। তিনি বরাবরই মেপে কথা বলেন, হাসিমুখে সব সিচুয়েশনকে সামলান।
তবে এবার এক সাক্ষাৎকারে তটিনী স্বীকার করেছেন এমন এক অভিজ্ঞতার কথা, যা তার সিনিয়র শিল্পীদের প্রতি তার মনোভাবকে ব্যক্ত করে।
অভিনয় ক্যারিয়ারে এমন কোন বিব্রতকর ঘটনা আছে কি না জানতে চাইলে এই সুহাসিনী অভিনেত্রী বলেন, ‘বেশ কয়েকটি বাজে অভিজ্ঞতাই আছে আমার ক্যারিয়ারে। বিশেষ করে নতুন কাজ করতে আসলে জুনিয়রদের সেভাবে জায়গা করে দেয়া হয় না। নাটকের সেটে তেমন কোন বিব্রতকর পরিস্থিতি কখনো তৈরি হয়নি আমার ক্ষেত্রে। তবে ক্যারিয়ারের শুরুতে ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে হয়েছে। স্প্যেশালি বিজ্ঞাপনের সেটে একটি বিব্রতকর ঘটনা আছে। সেখানে আমার সঙ্গে এমন খারাপ কিছু হয়েছে, কিন্তু আমি কিছুই বলতে পারিনি তখন।’

তখন তটিনী বলেন, ‘একটা বিজ্ঞাপনে আমার গায়ের রঙ নিয়ে একটু ঝামেলা হচ্ছিল, এজন্য আমার গায়ের রঙ ডাউন (বাস্তবের চেয়ে কালো) করতে হয়েছিল। কারণ, একজন সিনিয়র আর্টিস্টের সঙ্গে আমি কাজ করেছিলাম। তার গায়ের রঙের সঙ্গে মানানোর জন্য আমার আসল গায়ের রঙ ডাউন করতে হয়েছিল। কিন্তু আমার মনে হচ্ছিল, মাঝে মাঝে কম্প্রোমাইজটা আসলে সিনিয়দের দিক থেকেও হতে পারে। কিন্তু আমরা যখন সিনিয়র হয়ে যাই বা যখন বড় মাপের শিল্পী হয়ে যাই তখন আসলে তাদের মধ্যে সেই অমায়িকতাটা থাকে না। কিন্তু আমার মনে হয়, যতো বড় আর্টিস্ট হবে ততই বড় হওয়া উচিত তার মন মানসিকতা। জুনিয়রদেরকে ভালো না বাসলে আমরা প্রত্যাশা করি যে তারা আমাকে সম্মান করবে?’
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রকাশিত একাধিক নাটকে তটিনীর অভিনয় দারুণ সাড়া ফেলেছে। তারমধ্যে রয়েছে ইয়াশ রোহানের বিপরীতে ‘ভালো থেকো’, তৌসিফ মাহবুবের বিপরীতে ‘চলে হারিয়ে যাই’ ও ফারহান আহমেদ জোভানের বিপরীতে ‘মন বদল’।
কেএন/টিকে