ইমিগ্রেশনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই ৬ বাংলাদেশিকে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করানোর জন্য একজন অভিবাসন কর্মকর্তাকে ১৫ হাজার রিঙ্গিত ঘুষ দেয়ার অভিযোগে দুই বাংলাদেশি অভিযুক্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দেশটির সেশন আদালতে পৃথকভাবে তাদের বিরুদ্ধে বিচারক রোসলি আহমদ এবং বিচারক আজুরা আলউইয়ের সামনে অভিযোগগুলো পড়ানো হয়। তবে এসময় দুই বাংলাদেশি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, তারা এই অর্থ একজন অভিবাসন কর্মকর্তাকে দিয়েছিলেন যাতে ছয়জন বাংলাদেশি নাগরিককে ইমিগ্রেশনের যথাযথ প্রক্রিয়া ছাড়াই মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করানো যায়।
অভিযুক্তরা হলেন কবির হোসেন (৫১) এবং আকতার হোসেন (৫২)।
অভিযোগ অনুযায়ী, কবির হোসেন চলতি বছরের ১৪ মে বিকেল ২টা ১৭ মিনিটে জালান চাঙ্কাত টিএইচ-এর কাছে জালান নিয়োনিয়া অফ-এর একটি প্রাঙ্গনে একজন ব্যক্তির মাধ্যমে একজন অভিবাসন কর্মকর্তাকে ১৫ হাজার রিঙ্গিত নগদ অর্থ ঘুষ হিসেবে দিয়েছিলেন। এই অর্থ ছয়জন বাংলাদেশি নাগরিককে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ছাড়াই মালয়েশিয়ায় প্রবেশের সুবিধা প্রদানের জন্য দেয়া হয়েছিল।
কবির হোসেনের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৯-এর ধারা ১৬ (বি) এর অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে, যা একই আইনের ধারা ২৪(১) এর অধীনে শাস্তিযোগ্য। এই ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং ঘুষের অর্থের পাঁচ গুণের কম নয় বা ১০ হাজার রিঙ্গিত, যেটি বেশি হবে, সে পরিমাণ জরিমানা হতে পারে।
এদিকে, আকতার হোসেন যিনি একজন কর্মী নিয়োগকারী এজেন্ট। কবির হোসেনের সাথে উল্লিখিত অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৯-এর ধারা ২৮(১)(সি) এর অধীনে অভিযুক্ত হয়েছেন, যা ধারা ১৬(বি) এর সাথে পঠিত এবং ধারা ২৪(১) এর অধীনে একই শাস্তির বিধান রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রসিকিউটিং অফিসার মোহম্মদ হানাফি ফিরদহউস প্রতিটি অভিযুক্তের জন্য দুইজন স্থানীয় জামিনদারসহ ১০ হাজার রিঙ্গিতের জামিন প্রস্তাব করেছিলেন।
আদালত প্রতিজন অভিযুক্তকে ১০ হাজার রিঙ্গিত করে জামিনে মুক্তি দেয়ার অনুমতি দিয়েছে, সাথে দুইজন মালয়েশিয়ান জামিনদার, তাদের পাসপোর্ট আদালতে জমা দেয়া এবং মাসে একবার নিকটস্থ পুলিশ স্টেশনে রিপোর্ট করার অতিরিক্ত শর্ত যুক্ত করা হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ ২৯ আগস্ট ধার্য করা হয়েছে।
এফপি/টিএ