হোয়াইটওয়াশ হাতছাড়া, শেষ ম্যাচে ব্যাটিং বিপর্যয়ে হারলো বাংলাদেশ

সিরিজের শেষ ম্যাচে চরম বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের দুর্দান্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজের শেষ ম্যাচে দরকার ছিল ১৭৯ রান। তবে শুরুতেই ব্যাটিং ধস নামায় ১০৪ রানে অলআউট হয়ে যায় লিটন দাসের দল। অবশ্য প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ আগেই নিজেদের করে নেওয়ায় সিরিজ জয় উদযাপনে কোনো ঘাটতি থাকছে না টাইগারদের।

সিরিজের শেষ ম্যাচে জয় হাতছাড়া হলেও তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় স্বাগতিকরা। কিন্তু আগের দুই ম্যাচে দাপুটে পারফরম্যান্স দিয়েই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল লিটন দাসের দল।

আজকের ম্যাচে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। ব্যাটিং সহায়ক নয়, এমন দুই-পেসি উইকেটেও শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে থাকে সফরকারীরা। সাহিবজাদা ফারহানের ঝলমলে হাফসেঞ্চুরি (৫২ রান) এবং হাসান নওয়াজ ও মোহাম্মদ নওয়াজের কার্যকর ক্যামিও ইনিংসে পাকিস্তান তোলে চ্যালেঞ্জিং ১৭৮ রান।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ যেন ব্যাটিং বিপর্যয়ের আরেকটি ক্লাসিক উদাহরণ তৈরি করে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই সাজঘরে ফেরেন তানজিদ হাসান। এরপর একে একে ফিরে যান লিটন, মিরাজ, জাকের, মেহেদী—সবাই। ৪.৪ ওভারে ২৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে টাইগাররা। পাওয়ারপ্লেতে পড়ে যায় ৬ উইকেট, যার পর আর ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল না।

এক প্রান্ত আগলে চেষ্টা করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকলেও, তার ইনিংস শুধু ব্যবধান কমানোর কাজেই ব্যবহৃত হয়। পুরো ইনিংসে বাংলাদেশ পায় মাত্র ১০৪ রান, অলআউট হয়ে যায় ১৬.৪ ওভারে।

পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণে ছিলেন দারুণ বৈচিত্র্য। সবচেয়ে সফল ছিলেন সালমান মির্জা—৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি উইকেট। পাশাপাশি ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ নেন ২টি করে উইকেট। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিখুঁত বোলিংয়ের ছাপ রেখেই ম্যাচ নিয়ন্ত্রণে রাখে বাবরহীন পাকিস্তান দল।


তবে এই হারে বাংলাদেশের আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা লাগবে না বলেই ধারণা। সিরিজ জয় এবং তরুণদের পারফরম্যান্স থেকে পাওয়া ইতিবাচক দিকগুলো নিয়েই তারা এগোতে চাইবে আগামী সিরিজগুলোর দিকে।

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
মহাকাশ থেকে স্বামীর ভিডিও কলে চমকে উঠলেন স্ত্রী! কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করেন নভোচারীরা? Jul 26, 2025
img
রূপচর্চার পাশাপাশি ওজনও কমাবে সারা তেন্ডুলকারের প্রিয় মাচা প্রোটিন স্মুদি Jul 26, 2025
img
তাহলে জার্মানিও কি ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে! Jul 26, 2025
img
অভিনেত্রী কারিশমা ও অভিষেকের সম্পর্ক ভাঙার নেপথ্যে জয়া বচ্চন? Jul 26, 2025
img
জলাশয় ভরাট ও অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল মাইলস্টোন স্কুল, দাবি বিআইপির Jul 26, 2025
img
বিশেষ কোটায় প্লট নেন শেখ হাসিনার দপ্তরের ১৫ গাড়িচালক! দুদকের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য Jul 26, 2025
img
মাইলস্টোন ঘটনা: আহতদের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে ভারতীয় চিকিৎসক দল Jul 26, 2025
img
বাংলায় কথা বলার কারণে তরুণকে পুশইন করল বাংলাদেশে Jul 26, 2025
img
নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া Jul 26, 2025
img
কবি ও লেখক এস এম শামসুল হক আর নেই Jul 26, 2025
img
৩ আগস্ট শহীদ মিনার থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র ও জুলাই সনদ আদায় করা হবে: নাহিদ Jul 26, 2025
img
মার্কিন শুল্ক সংকট: ভার্চুয়াল বৈঠকের আগেই ওয়াশিংটন থেকে আসতে পারে সুখবর Jul 26, 2025
img
যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ পাকিস্তানই নিয়েছিল: ভারত Jul 26, 2025
img
সাতক্ষীরায় বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২ Jul 26, 2025
img
চট্টগ্রামে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩ Jul 26, 2025
img
নাটোরে ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২ Jul 25, 2025
img
মৌলভীবাজার সীমান্ত দিয়ে আবারও ৫ জনকে পুশইন করল বিএসএফ Jul 25, 2025
img
বৈরী আবহাওয়ায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে লঞ্চ চলাচল বন্ধ Jul 25, 2025
img
কিছু চক্র আছে, যারা চায় না বাংলাদেশে নির্বাচন হোক: টুকু Jul 25, 2025
img
ম্যাক্রোঁর স্ত্রীকে ‘পুরুষ’ বলায় মার্কিন ইনফ্লুয়েন্সারের বিরুদ্ধে মামলা Jul 25, 2025