লঘুচাপ ও আমাবস্যার কারণে সাগর উত্তাল থাকায় টানা চারদিন ধরে টেকনাফ-সেন্ট মার্টিন রুটে ট্রলারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এতে করে নিত্যপণ্যের সংকট দেখা দিয়েছে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপটিতে।
সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমাবস্যার কারণে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উচ্চতায় প্লাবিত হচ্ছে। ফলে বিভিন্ন এলাকার বাড়ি ঘরে পানি ঢুকেছে।
শক্তিশালী ঢেউয়ের কারণে কোথাও কোথাও ভাঙনও শুরু হয়েছে। এতে করে আতঙ্কে রয়েছেন দ্বীপটির ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা।
স্থানীয় বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ ফুরিয়ে আসছে। দ্রুত খাদ্যপণ্য না এলে তীব্র সংকট দেখা দেবে।
তিনি দ্বীপবাসীর জন্য জরুরি ভিত্তিতে সি-ট্রাক ও সি-অ্যাম্বুলেন্স চালুর দাবি জানান।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, বৈরী আবহাওয়ায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নৌযান চলাচল পুনরায় শুরু হবে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে সাগর উত্তাল রয়েছে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এমকে/টিকে