তারকা পরিচয়ের ভার, তবু পথটা সহজ ছিল না শ্রুতি হাসানের। চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার শুরুর পরই যে উপাধি তাকে শুনতে হয়েছিল, তা ছিল অবিচারের প্রতিচ্ছবি—‘আয়রন লেগ’। সিনেমা ব্যর্থ হলেই অভিনেত্রীকে দায়ী করার প্রবণতা, যা নায়কদের ক্ষেত্রে খুব কমই দেখা যায়—তা নিয়েই এবার মুখ খুললেন তিনি।
সম্প্রতি এক খোলামেলা আলোচনায় নিজের অতীতের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন শ্রুতি। জানান, “আমি সৌভাগ্যবান বা দুর্ভাগ্যবান—এই শব্দগুলোতে বিশ্বাস করি না। আমি কেবল সিনেমাকে ভালোবাসি।” অভিনয়ের শুরুতে বারবার ব্যর্থতার পরও নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাননি তিনি। আর সেই অন্ধকার কাটিয়ে আলোয় ফিরিয়ে এনেছিল ‘গব্বর সিং’ ছবিটি।
‘গব্বর সিং’ ছবির সাফল্যের পেছনে শ্রুতি কৃতজ্ঞ পবন কল্যাণ ও পরিচালক হরীশ শংকরের প্রতি, যাঁরা তার আগের ছবিগুলোর ব্যর্থতাকে পাত্তা না দিয়ে এই চরিত্রে সুযোগ দিয়েছিলেন। সেই ছবিই হয়ে ওঠে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরানো এক অধ্যায়।
তবে শ্রুতি মনে করেন, সময়ের ব্যবধানে অনেক ছবি আজ নতুন করে মূল্যায়িত হতে পারতো। যেমন তাঁর অভিনীত ‘থ্রি’ ছবিটি। তখন বক্স অফিসে ব্যর্থ হলেও, আজকের স্ট্রিমিংমুখী ভারতীয় বাজারে এই ছবি হয়তো নতুন মাত্রায় সাড়া ফেলতো। “কলাভেরি দির মতো গান তখন সারা বিশ্বে ভাইরাল হয়েছিল। এখন হলে হয়তো ছবিটাও সেই রকমই পৌঁছে যেত দর্শকের কাছে,” বলেন তিনি।
বর্তমানে শ্রুতি কাজ করছেন রজনীকান্ত অভিনীত ‘কুলি’ ছবিতে। ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে সত্যরাজের মেয়ের ভূমিকায়। এই চরিত্রটি তার কাছে বেশ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি সরাসরি অফার করেছিলেন পরিচালক লোকেশ কানাগরাজ—একটি মিউজিক ভিডিওতে একসঙ্গে কাজ করার সময়।
চলচ্চিত্রজগতে নারী অভিনেত্রীদের জন্য পথ যতটা কঠিন, শ্রুতি যেন নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তা আবারও মনে করিয়ে দিলেন। তবে কষ্ট থেকে উঠে আসার গল্পটাই তো আসল জয়। আর সেই জয়ের পথে শ্রুতি আজ নিজেই এক অনুপ্রেরণা।
এফপি/টিএ