শান্তি আলোচনায় মালয়েশিয়া যাচ্ছেন থাই ও কম্বোডিয়ার নেতারা

আজ সোমবার মালয়েশিয়ায় থাইল্যান্ড ও কাম্বোডিয়ার নেতাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ বন্ধে শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। থাইল্যান্ডের সরকার জানিয়েছে, আঞ্চলিক সংস্থা আসিয়ান-এর চেয়ার হিসেবে মালয়েশিয়া আলোচনার আয়োজন করেছে।

 অপরদিকে কাম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বলেন, আলোচনা যৌথভাবে আয়োজন করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখানে চীনও অংশ নিচ্ছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, শান্তি প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তারা ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই বলেছিলেন, দুই দেশের নেতারাই সংঘাত বন্ধে আগ্রহী।

গতকাল রবিবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রে এবং সোমবার সকালে এশিয়ায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে রুবিও বলেন, ‘আমরা চাই এই সংঘাত যত দ্রুত সম্ভব শেষ হোক।’

সীমান্তে এক কাম্বোডিয়ান সেনার মৃত্যুর পর মে মাসের শেষের দিকে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে।

এরপর দুই দেশই সীমান্তে সেনা মোতায়েন বৃদ্ধি করে এবং পরিস্থিতি কূটনৈতিক সংকটে রূপ নেয়, যার ফলে থাইল্যান্ডের জোট সরকার ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়। গত বৃহস্পতিবার উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং এটি এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। এতে এ পর্যন্ত ৩০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে ২০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি সীমান্ত অঞ্চল থেকে ২ লাখের বেশি মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সীমান্তে সংঘর্ষ শুরুর পরপরই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেন। এই আলোচনায় সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। থাইল্যান্ড শুরুতে বলেছিল, তারা নীতিগতভাবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত, তবে চাইছে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা। অন্যদিকে, কাম্বোডিয়া আন্তর্জাতিক অংশগ্রহণ চাচ্ছিল। মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, দুই দেশের অনুরোধে আলোচনায় সভাপতিত্ব করবেন আনোয়ার।

তিনি বলেন, ‘আমি শর্ত ও কাঠামো নিয়ে আলোচনা করছি, তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো -অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি।’

সূত্র : বিবিসি

এমকে/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

যেসব খাতে সৌদিতে সীমিত হচ্ছে প্রবাসীদের কাজের সুযোগ Jul 28, 2025
মেয়েকে নিতে এসে প্রাণ গেলো মায়ের! শোকে আচ্ছন্ন সোনিয়ার পরিবার Jul 28, 2025
img
আজীবন সম্মাননায় ভূষিত রুনা লায়লা Jul 28, 2025
img
সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে নির্বাহী বিভাগের দলীয়করণ থেকে বাঁচাতে হবে : সারজিস Jul 28, 2025
img
গাজায় খাদ্য কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা ট্রাম্পের Jul 28, 2025
img
হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নামার আগেই বড় দুঃসংবাদ ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে Jul 28, 2025
img
জিম্বাবুয়েকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ Jul 28, 2025
img
তারেক রহমানের মধ্যে শহীদ জিয়ার প্রতিচ্ছবি আছে : বিএনপি নেতা খোকন Jul 28, 2025
img
গণ-অভ্যুত্থানের ১৫ মামলায় পুলিশের চার্জশিট Jul 28, 2025
img
ছয় মাসে কুয়েত থেকে ফেরত পাঠানো হলো ১৯ হাজার প্রবাসী Jul 28, 2025
img
কেউ যেন রাষ্ট্রকে পকেটে ঢুকাতে না পারে: জোনায়েদ সাকি Jul 28, 2025
img
ইতিহাসের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, কেজিতে কেজিতে সোনা বিলানো ছিল যার নেশা Jul 28, 2025
img
৩ আগস্ট আমরা ঢাকায় জড়ো হচ্ছি : নাহিদ ইসলাম Jul 28, 2025
img
ব্রাজিলিয়ান ‘চ্যাম্পিয়ন’ কোচকে দলে নিল বসুন্ধরা কিংস Jul 28, 2025
img
বিজেপিতে হেরে এবার তৃণমূলে শ্রাবন্তী? Jul 28, 2025
img
ঢাকা ছেড়েছে ভারতীয় মেডিকেল টিম Jul 28, 2025
img
সবার জন্য এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি : জামায়াত Jul 28, 2025
এক মহান নবী ও এক রাণীর বিয়ের ইতিহাস | প্রতিদিনের ইসলামিক কার্টুন Jul 28, 2025
বাংলাদেশে স্টারলিংক চালু ড. ইউনূসের জন্য একটা বুমেরাং হয়ে গেছে Jul 28, 2025
img
এমন অবস্থা আর চলতে দেওয়া উচিত নয় : জামায়াত আমির Jul 28, 2025