পরের মাঠে যেমন-তেমন, ঘরের মাঠে বাঘ—এমনটাই হয় স্বাগতিকের দলের পরিচয়। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন নিজের মাঠেও বিড়াল। ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৭ ম্যাচ খেললেও যে জয় পাইনি একটাতেও। নেই ড্রও।
উল্টো সব ম্যাচেই হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এমন কঠিন দিনযাপনের সময়ই পেল দুঃখের সংবাদ। স্লো ওভার রেটের কারণে শাস্তি গুনতে হচ্ছে তাদের। শাস্তি হিসেবে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা গুনতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের।
চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ওভার শেষ করতে না পারায় এই শাস্তি পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেন্ট কিটসে সময়ের থেকে ২ ওভার পিছিয়ে ছিল তারা। আইসিসির আচরণবিধির অনুচ্ছেদ ২.২২ অনুযায়ী, যথাসময়ে বোলিং দল ওভার শেষ করতে না পারলে প্রতি ওভারের হিসেবে ৫ শতাংশ করে জরিমানা গুনতে হবে ক্রিকেটারদের। সেই হিসাবে ২ ওভার পিছিয়ে থাকায় ১০ শতাংশ জরিমানা গুনতে হচ্ছে জেসন হোল্ডার-রোমারিও শেফার্ডদের।
আইসিসির ম্যাচ অফিসিয়ালদের শাস্তি ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক শাই হোপ মেনে নেওয়ায় আর শুনানির প্রয়োজন পড়ছে না। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ক্যারিবিয়ানদের হারটা শুরু হয়েছে টেস্ট দিয়ে। দীর্ঘ সংস্করণে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছে স্বাগতিকেরা। এরপর টি-টোয়েন্টিতে একে একে চার ম্যাচ হেরেছে দলটি। যার সর্বশেষটিতেই ২০৬ রানের লক্ষ্য দিয়েও জয় পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
জশ ইংলিস আর ক্যামেরন গ্রিনের জোড়া ফিফটিতে ৪ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সিরিজ খোয়ানো তৃতীয় ম্যাচে আবার ২১৫ রানের লক্ষ্য দিয়েও হার দেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেদিন অবশ্য জয়ের দারুণ সুযোগ পেয়েছিল তারা। কিন্তু মুখ থেকে খাবার কেড়ে নিয়ে যান অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়া টিম ডেভিড (৩৭ বলে)। আগামীকাল ভোরে পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে নামবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য থাকবে টেস্টের মতো সীমিত সংস্করণেও প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করা।
ইউটি/এসএন