কেউ যেন রাষ্ট্রকে পকেটে ঢুকাতে না পারে: জোনায়েদ সাকি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, আর কেউ যাতে বাংলাদেশে রাষ্ট্রব্যবস্থা ও রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানসমূহকে পকেটে ঢুকিয়ে ফেলতে না পারে। নির্বাচন দিলে হেরে যাবে এই ভয়ে শেখ হাসিনার সরকার পুরো ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে চেয়েছিল।

সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেলে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে গণসংহতি আন্দোলনের জুলাই সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘কেন একজন ব্যক্তি চাইলেই বছরের পর বছর ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে পারে? এর কারণ, সে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাটাকেই পকেটে ঢুকিয়ে ফেলেছিল। পুলিশ, প্রশাসন, আইন, সংবিধান, সেনাবাহিনী সব। জনগণের ওপর স্টিমরোলার চালিয়ে, ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে এবং বিদেশিদের পায়ে ধরে ক্ষমতা রক্ষা করতে চেয়েছিল তারা।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতন ঘটানো এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাকে পকেট থেকে বের করে জনগণের অধীনে আনা।'

গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলার সভাপতি মুনীর চৌধুরী সোহেলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন জেএসডির খুলনা মহানগর সভাপতি খান লোকমান হাকিম, ভাসানী অনুসারী পরিষদ খুলনা মহানগরের সভাপতি শেখ আবদুল হালিম, গণসংহতি আন্দোলন অভয়নগর উপজেলার সদস্য সচিব সামস সারফিন সামন, খালিশপুর দৌলতপুর জুটমিল যৌথ কারখানা কমিটির নেতা মনির হোসেন মনি, প্লাটিনাম জুটমিলের শ্রমিকনেতা নূরুল ইসলাম, দৌলতপুর জুটমিল কারখানা কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ, হার্ডবোর্ড মিলের শ্রমিক নেতা মো. জহিরুল ইসলাম জব্বার প্রমুখ।

সমাবেশের আগে ‘বন্ধকৃত ২৬টি পাটকল, নিউজপ্রিন্ট ও হার্ডবোর্ড মিলসহ খুলনার সকল শিল্পকারখানা চালু করতে হবে’ দাবিতে খালিশপুর থেকে শিববাড়ী পর্যন্ত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
শুধু কথা দিয়ে ইসরায়েলি বর্বরতা থামবে না : পেজেশকিয়ান Sep 16, 2025
img
রশিদ খানরা এগিয়ে, তবুও রিশাদে ভরসা রাখছেন মুশতাক Sep 16, 2025
img
শেখ হাসিনার মামলায় মাহমুদুর রহমানের অবশিষ্ট সাক্ষ্যগ্রহণ আজ Sep 16, 2025
img
দেশের বাজারে স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর Sep 16, 2025
img
বিসিবির কাছে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোয়াবের দাবি Sep 16, 2025
img
ভেনেজুয়েলার নৌযানে মার্কিন হামলা, নিহত ৩ Sep 16, 2025
img
ইয়্যুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাকসুর শিবির প্যানেলের দ্বীপ Sep 16, 2025
img
কাতারে আর হামলা করবে না নেতানিয়াহুর দেশ : ট্রাম্প Sep 16, 2025
img
লুট করা জিনিস কেনা বা বিক্রির বিরুদ্ধে সতর্কতা জারি নেপালে Sep 16, 2025
img
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান মালয়েশিয়ার Sep 16, 2025
img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস Sep 16, 2025
img
ফিরছে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ফুটবল-ক্রিকেটে জমজমাট রাত Sep 16, 2025
img
ইইউ বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ Sep 16, 2025
img
হামাস যেখানেই থাকুক, হামলা করা হবে : নেতানিয়াহু Sep 16, 2025
img
দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে কিনশাসা, ঢাকার অবস্থান ২৩তম Sep 16, 2025
img
শরীর নয়, মন ভালো রাখতেও জরুরি সঠিক খাবার Sep 16, 2025
img
১৬ সেপ্টেম্বর: ইতিহাসে এই দিনে আলোচিত কী ঘটেছিল? Sep 16, 2025
img
শেরপুরে জাতীয় পরিচয়পত্র করতে এসে রোহিঙ্গা যুবক আটক Sep 16, 2025
img
সাতক্ষীরায় ১ দিনে পানিতে ডুবে কিশোরসহ প্রাণ হারাল ৪ Sep 16, 2025
img
চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরুর আগে সুসংবাদ পেল রিয়াল মাদ্রিদ Sep 16, 2025