মনের হঠাৎ ভালো লাগা কিংবা মনখারাপের পিছনে শুধুই পরিস্থিতি নয়, ভূমিকা থাকে হরমোনের। শরীরের একেকটি হরমোন আমাদের আবেগ, অনুভূতি এমনকি চিন্তাভাবনার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। যেমন, কিছু হরমোন উদ্বেগ বাড়াতে পারে, আবার কিছু হরমোন মন ভালো রাখে, আনন্দের অনুভূতি দেয়। এরকমই এক গুরুত্বপূর্ণ হরমোন হলো ডোপামিন, এক ধরনের নিউরোট্রান্সমিটার।
অনুপ্রেরণা, আনন্দ, সন্তুষ্টি; এসব কিছুর সঙ্গেই ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে ডোপামিন। শরীরচর্চা ও ঘুমের পাশাপাশি কিছু খাবারও এই হরমোনের নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে।
চপ, কাটলেট, মোগলাই, বিরিয়ানি এগুলো মুখরোচক হলেও শরীর ও মনের পক্ষে খুব একটা উপকারী নয়। বরং এমন কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলোর পুষ্টিগুণ হরমোন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং মস্তিষ্কে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
চলুন, জেনে নিই এমন কয়েকটি খাবার।
কলা
কলায় থাকে টায়রোসিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড। যা ডোপামিন নিঃসরণে সাহায্য করে। বিশেষ করে পাকা কলায় এই উপাদান বেশি থাকে।
এ ছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন বি-৬। যা ডোপামিন তৈরিতে সহায়ক কো-এনজাইম হিসাবে কাজ করে।
ডিম
ডিমেও আছে টায়রোসিন ও অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং নিউরোট্রান্সমিটার তৈরিতে সহায়তা করে। ডিমের মধ্যে থাকা কোলাইন মস্তিষ্ক সচল রাখতে সহায়ক। প্রোটিন ও স্বাস্থ্যকর চর্বি শুধু শরীর নয়, মন ভালো রাখার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখে।
ডার্ক চকলেট
ডার্ক চকলেটে থাকে ফেনাইলইথাইলামিন নামের একটি যৌগ, যা স্নায়ুতন্ত্রকে উত্তেজিত করে ডোপামিন নিঃসরণ বাড়ায়। ক্যাফেইন ও থিওব্রোমিনও মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই একটু ডার্ক চকলেট খেলেই মনটা হালকা লাগতে পারে।
ফার্মেন্টেড খাবার
ইয়োগার্ট, কিমচি ইত্যাদি ফার্মেন্টেড খাবার অন্ত্রের (গাট) স্বাস্থ্য ভালো রাখে। আর অন্ত্রের সঙ্গে মস্তিষ্কের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। অন্ত্র ভালো থাকলে মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।
কাঠবাদাম
কাঠবাদামে রয়েছে টায়রোসিন, ভিটামিন ই ও ম্যাগনেশিয়াম। যা স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় ও মেজাজকে স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
সূত্র : আনন্দবাজার